সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন বাস্তবায়নে যথেষ্ট অগ্রগতি হলেও কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিশেষ করে ছবি সহ সতর্কবার্তা দিতে বিভিন্ন তামাক কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করছে বলে গণমাধ্যমে আসছে। তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রির জন্য তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে আইন লঙ্ঘনে উৎসাহী করছে তামাক কোম্পানিগুলো। এগুলো আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। ভ্রম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতের লক্ষ্য অসংক্রামক রোগের এক তৃতীয়াংশের অকাল মৃত্যু হ্রাস এবং আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি (এফসিটিসি) বাস্তবায়নকে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবারের মতো এবারও ৩১ মে বাংলাদেশে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হবে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তামাক উন্নয়নের অন্তরায়’। দেশের ৬৪টি জেলায়ই দিবসটি উদযাপন করা হবে। ইতোমধ্যে সব জেলায় জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের দিবসটি উদযাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের পোস্টার উদ্বোধন করেন।
জেএ/ এমএনএইচ/