বিরল রোগে আক্রান্ত আব্বাসের আরও ছয়টি পরীক্ষা করা হচ্ছে

ঢাকার মালিবাগে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিশোর আব্বাস শেখের আরও ছয়টি পরীক্ষা করতে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সোমবার বাংলা ট্রিবিউনকে এ কথা জানান হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।

বিরল রোগে আক্রান্ত আব্বাস শেখতিনি বলেন, ‘আব্বাসের বায়োপসি রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তার আরও ছয় ধরনের পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। যেগুলো রেয়ার পরীক্ষা। একটার পর একটা পরীক্ষা বাড়ছে। এটা খুবই একসেপশনাল কেস, এটাকে একাডেমিক কেসও বলতে পারেন।’

তিনি বলেন, ‘আজ রিপোর্টগুলো পরীক্ষার জন্য জমা দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্যাথলজি এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে এই পরীক্ষা করা হবে। আমরা সিস্টেমেটিক্যালি এগুচ্ছি। এই রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর তার চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করব।’ 

এখন আব্বাসের শারীরিক অবস্থা ভাল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তার শরীরের ওজন ছয় কেজির মতো কমেছে। তার পেটে পানি ছিল, পায়ে পানি ছিল, ফুসফুসে পানি ছিল, তার হার্টের আশেপাশে পানি ছিল। তারপরে তার পা গন্ধ করত। গন্ধে রুমে ঢোকা যেত না। তা গা চুলকাত। এখন এই সমস্যাগুলো নেই। তার রক্তশূন্যতা ছিল। আমরা চার ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পর তা পূরণ হচ্ছে। তার শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ কম ছিল, হিমোগ্লোবিন কম ছিল, এগুলো এখন ধীরে ধীরে ইমপ্রুভ করছে।’

আরও পড়ুন: রক্ত দেওয়া হয়েছে বিরল রোগে আক্রান্ত আব্বাসকে

এর আগে, রোগটিকে বিরল উল্লেখ করে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, ‘আমাদের হাতে বায়োপসির রিপোর্ট শনিবার হাতে আসবে। এরপর আমরা একটা বোর্ড করব। বোর্ড করে তার পরবর্তী চিকিৎসা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব।’ তবে সোমবার (১২ মার্চ) পর্যন্ত রোগটি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

আব্বাস শেখ বাংলা ট্রিবিউনকে বলে, ‘আমি আগের চেয়ে ভাল আছি। শক্তি পাচ্ছি। ওজনও কমেছে কিন্তু আমার হাঁটা কমে গেছে। হাসপাতালে ভালই থাহি! এখানে সবাই আমার সঙ্গে তো ভালই ব্যবহার করে। তবে তারা এখনও শিওর দেয় না বুঝছেন! আমার পরীক্ষা চলছে। অনেকগুলো পরীক্ষা করেছে। আরও একটা পরীক্ষা আছে সেইটা করা হলে আমারে জানাবে বলছে।’

প্রসঙ্গত, চিকিৎসাবঞ্চিত মাদারীপুরের আব্বাস শেখকে ২১ ফেব্রুয়ারি ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। গত ১৯ ও ২১ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আব্বাস শেখের শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের চিফ ইক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ আব্বাস শেখের চিকিৎসার দায়িত্বভার নেন।