সিডস্টার ইনোভেশন পুরস্কার পেলো বাংলাদেশের সিমেড হেলথ প্রকল্প

পুরস্কার নিচ্ছেন এইমস ল্যাব পরিচালক ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন (ছবি: সংগৃহীত)সিডস্টার ইনোভেশন পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশের স্মার্ট স্বাস্থ্য মনিটরিং ও প্রিভেনটিভ স্টার্টআপ সিমেড হেলথ প্রকল্প। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের লাউসনেসুইস টেক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সামিটে ১২টি স্টার্টআপের মধ্য থেকে এ বছর শীর্ষ ইনোভেশন পুরস্কার দেওয়া হলো এই প্রকল্পকে। ইনোভেশন পুরস্কার হিসেবে সিমেড হেলথকে ৫০ হাজার ডলার মূলধন বিনিয়োগ দেওয়া হয়।

এ বছর সিডস্টার ওয়ার্ল্ড সামিটে ৬৬টি দেশ থেকে ৬৬ উদ্ভাবনী স্টার্টআপ অংশগ্রহণ করে। ১২টি দেশের ১২ জন শীর্ষ উদ্যোক্তা ও পাঁচ দেশের শীর্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক এক্সিকিউটিভ প্যানেলের মাধ্যমে গ্লোবাল উইনার, টপ ইনোভেশন, টপ ফিনটেক, আফ্রিকান হেলথ টেক, আফ্রিকান এনার্জি, নারী উদ্যোক্তা, সর্বাধিক সময় সংরক্ষণ, ও টপ এডুটেক স্টার্টআপ— এই আটটি বিষয়ের ওপর দেওয়া হয় পুরস্কার।

সিমেড স্বাস্থ্য মনিটরিং ব্যবস্থাটি স্মার্ট ফোনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এর স্মার্ট মেডিক্যাল ডিভাইসগুলো শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণের পরিমাপ দেখায় ও প্রাপ্ত তথ্যগুলো সুরক্ষিত ক্লাউড সার্ভারে সংরক্ষণ করে থাকে। ব্যবহারকারীরা স্বাস্থ্যের সবশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক সংকেত জানতে পারবেন অত্যাধুনিক এই সিস্টেমের মাধ্যমে। সিমেডের রেকর্ডকৃত স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যাবলি ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসকরা রোগ নির্ণয়ের সময় কমিয়ে এনে উন্নত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হন।

সিমেড হেলথ প্রকল্প হলো ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যাডভান্স ইন্টেলিজেন্ট মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সিস্টেম ল্যাবের (এইমস ল্যাব) পরিচালক ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুনের গবেষণামূলক ফল। এটি এখন একাডেমিয়া থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে রিসার্চ কমার্শিয়ালাইজেশনের দৃষ্টান্ত। সিমেড হেলথ প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ অর্জন সিমেড ও বাংলাদেশ উভয়ের জন্য একটি গৌরবময় ব্যাপার।’

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠিত সিডস্টার হলো একটি সুইস গ্রুপ। এর উদ্দেশ্য প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তার মাধ্যমে মানুষের জীবনব্যবস্থা উন্নত করা। বিশ্বের বৃহত্তম সিড-স্ট্যাজ স্টার্টআপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৬৬টি দেশের শীর্ষ প্রতিভা অর্জনকারীদের পরামর্শ দান, নেটওয়ার্কিং ও তহবিল ইত্যাদি সেবা দিয়ে থাকে সিডস্টার ওয়ার্ল্ড।