স্বেচ্ছায় রক্ত ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস কাল

FnH-ministry20180407162239আগামীকাল শুক্রবার (২ নভেম্বর) স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর জাতীয় চক্ষুদান দিবস ২০১৮ পালিত হবে। এদিন সকালে সাড়ে ৯টায় জাতীয় শহীদ মিনার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) পর্যন্ত র্যা লি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এ দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে।
এবারের দিবসে প্রতিপাদ্য বিষয় “দৃষ্টি ফেরায় চক্ষুদান, রক্তদানে বাঁচে প্রাণ” স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদ ও সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাকিয়া সুলতানা। এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির মহাসচিব ডা. মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ অন্ধ। এরমধ্যে পাঁচ লাখ মানুষ কর্নিয়াজনিত অন্ধ। প্রতি বছর এ সমস্যায় নতুন করে অন্ধ হচ্ছে আরও ৪০ হাজার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪২টি কর্নিয়া সংগ্রহের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৩১ জন মানুষের চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পেরেছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশের কর্নিয়াজনিত অন্ধত্ব মানুষের চোখে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে সময় লাগবে ৬ হাজার বছর। তাই সমাজের বিবেকবান মানুষদের সব ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় ভুল ব্যাখ্যায় বিভ্রান্ত না হয়ে স্বতঃস্ফুর্তভাবে চক্ষুদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ১৯৭৭ সালে স্বেচ্ছায় রক্তদান ছিল কঠিন কাজ। তখন আমরা অনেকেই রক্তের অভাবে নিজের মায়ের মৃত্যুকে বরণ করতাম। কিন্তু এখন আর বাংলাদেশ সেই অবস্থানে নেই। সন্ধানী স্বেচ্ছায় রক্তদান একটি জনপ্রিয় সামাজিক আন্দোলনের রূপ দিয়েছে। সন্ধানী ছাড়াও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, কোয়ন্টাম, বাঁধন, পুলিশ ব্লাড ব্যাংকসহ আরও অনেক সংগঠন স্বেচ্ছায় রক্তদানে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে রক্তদাতার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শুক্রবার বেলা ১১টায় বিএসএমএমইউ মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাছিম। এছাড়া, বিষেশ অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপু মনি, জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. হাবিবে মিল্লাত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।