শুরুতে শনাক্ত হলে ৫০ ভাগ কিডনি রোগ ঠেকানো সম্ভব


কিডনিবিশ্বে ৮৫ কোটি লোক কিডনি রোগে ভুগছে। বাংলাদেশে ২ কোটি লোক এ রোগে আক্রান্ত।  আর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে মারা যাচ্ছে প্রায় ৩০ লাখ লোক। অথচ শুরুতে এ রোগ শনাক্ত করতে পারলে ৫০ ভাগ রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
শুক্রবার কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউটের মহাসচিব অধ্যাপক মুহিবুর রহমান পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা যায়।
বক্তারা বলেন, ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজনের অভাবেই বেশিরভাগ রোগী মারা যায়। মাত্র ২০ ভাগ মানুষের জন্য ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজনের সুযোগ রয়েছে। অথচ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করে চিকিৎসা নিলে ৫০ ভাগ কিডনি রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। এ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে দেশের ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক। এছাড়া বেশি বেশি নার্স, প্যারামেডিক্স ও কিডনি বিশেষজ্ঞ তৈরি নেওয়াও জরুরি।
কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর  উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক যাতে লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন চিকিৎসা নেয়। এসব রোগীর রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে কিনা, প্রস্রাবের সঙ্গে মাইক্রো অ্যালবুমিন বা অ্যালবুমিন যাচ্ছে কিনা- তা যদি জানা যায়, তাহলে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ শনাক্ত করা যায়। এরপর তাদের যথাযথ চিকিৎসা দিলে ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে ক্রনিক কিডনি রোগ থেকে রক্ষা করা যায়। তাই এ বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। 
অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ জানান, কিডনি রোগের সঙ্গে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে এবং দেশে বর্তমানে ৮০ লাখ লোক ডায়াবেটিসে, ২ কোটি লোক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাই ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপে আক্রান্তদের যথাযথ চিকিৎসা ও সচেতনতা জরুরি।