‘সিএইচসিপিরা রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করা নিয়ম বহির্ভূত’

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকরোগীদের কেবল চিকিৎসকরাই অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘দেশের চিকিৎসা খাতে মেডিক্যাল হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) রোগীদেরকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করছে। এ ধরনের কাজ সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত। সিএইচসিপিদের রাখা হয়েছে শুধু প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য। তাই এ বিষয়ে কঠিন ও জোরদার পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) হেলথ সিস্টেম রিফর্ম ফর ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। এসব রোগ প্রতিরোধে আমরা প্রস্তুত নই। তাই অসংক্রামক রোগের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। আর এজন্য জীবনযাত্রার মান পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। এটাকে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারেরও অন্তর্গত করতে হবে।’

সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেনটেনেন্সের জন্য বাজেটে মাত্র ছয় থেকে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে, কিন্তু এ খাতে প্রয়োজন প্রায় ৪শ থেকে ৫শ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর থেকে আমরা এ খাতে বিশেষ নজর দেবো, বরাদ্দ বাড়াবো। স্বাস্থ্যখাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে বরাদ্দের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফায়েজ, ইউএনএফপিএ’র সিনিয়র উপদেষ্টা ডা. এস এ জে মো. মুসা, অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ ইকনোমিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ হামিদ, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ইকবাল আনোয়ার, অধ্যাপক ডা. মো. লিয়াকত আলী, ডা. মো. আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।

সেমিনারে জাহিদ মালেক পাঁচটি জাতীয় গাইডলাইনের মোড়ক উন্মোচন করেন।