চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে আইনি ব্যবস্থা

ওষুধরেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও বিতরণ করা যাবে না বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) অধিদফতর থেকে এই সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সংলগ্ন ১১টি ফার্মেসি পরিদর্শন করে সেগুলোয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্রার খাতা না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে এসব ফার্মেসিকে দিয়ে রেজিস্ট্রার খাতা সংগ্রহ করে সেখানে কী কী তথ্য কীভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক কেনা-বেচার তথ্যসংবলিত রেজিস্ট্রার সংক্ষরণ না করলেও আইনি ব্যবস্থা  নেওয়া হবে।’  

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রি না। স্পষ্ট স্বাক্ষর ও তারিখসহ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির ক্যাশমেমো দিতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক কেনা ও বিক্রি করার তথ্য রেজিস্ট্রার খাতায় ঠিকমতো লিপিবদ্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স সম্পন্ন করার বিষয়ে পরামর্শ দিতে হবে। রোগীকে সম্পূর্ণ কোর্সের অ্যান্টিবায়োটিক সরবরাহ করতে হবে। 

ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর একইসঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ যারা ব্যবহার করছেন তাদের প্রতিও কিছু পরামর্শ দিয়েছে জানিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক কেনা, সেবন বা ব্যবহার করতে হবে।। বিক্রেতার স্পষ্ট স্বাক্ষর ও তারিখসহ অ্যান্টিবায়োটিক কেনার ক্যাশমেমো সংরক্ষণ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক মাত্রায়, সঠিক পদ্ধতিতে পূর্ণ কোর্স অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।’

মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সঠিক মাত্রায়, সঠিক পদ্ধতিতে পূর্ণ কোর্স অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করলে রোগ-জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’ তাই শারীরিকভাবে সুস্থতা অনুভব করলেও চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিকের পূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।