ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ যে কমিটি করেছিল তাদের পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। প্রতিটি ধাপে ধাপে তাদের অনুমতি নিতে হচ্ছে। চিঠি ভাইস চ্যালেন্সরের দফতরে আছে। তার চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে এ কমিটি আমাদের জানাবে।
নিজেদের তৈরি ‘জিআর র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটে দিয়ে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য সরকারকে সাময়িক সনদপত্র দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা সরকারের কাছে একটা আবেদন করতে চাইছি। যতদিন না পর্যন্ত কিটের তুলনামূলক রিপোর্টটা না আসে, ততদিন আমাদের সাময়িক সনদপত্র দেন।
গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা বোঝাতে পারিনি যে এটা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দ্রুত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা দরকার। এ সময়ে আমরা জাতির জন্য কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারতাম। হয়তো সবকিছুর পরিবর্তন করতে পারতাম না। কিন্তু মানসিকভাবে মানুষকে একটা স্বস্তি দিতে পারতাম।
গণস্বাস্থ্যের তৈরি কিট কার্যকর দাবি করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, গণস্বাস্থ্য প্রতিদিন ২শ’ থেকে ৩শ’ কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস করে থাকে। যেসব রোগী আসে করোনা পজিটিভ, তাদের ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হয় না। তাই জনসাধারণের কাছে আবেদন করছি, আমাদের হাসপাতালের আশেপাশে কেউ ৫ হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা দিলে আমরা সেখানে দ্রুত মেশিন বসিয়ে করোনা আক্রান্ত ১০০ জনকে প্রতিদিন ডায়ালাইসিস করে দিতে পারি।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বা আইসিডিডিআর,বিতে ওই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর গত ২ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।