মানুষ ঘরে না থাকায় শঙ্কায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

1দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার ভেতরেই মানুষের অবাধ চলাফেরা করার কারণে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, নতুন এ ভাইরাস মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা চাই। রবিবার ( ১৭ মে) রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জনগণকে সচেতন করার জন্য মিডিয়া যথেষ্ট প্রচার করেছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও শঙ্কিত, যখন দেখি যে বিভিন্ন যানবাহনে বিশেষত রিকশা, সিএনজিতে জটলা পাকিয়ে অনেক লোক চলাফেরা করে। আমরা যখন দেখি দোকানে, শিল্প কারখানার সামনে, ফেরিঘাটে জটলা পাকাচ্ছে তখন আমরা আতঙ্কিত হই। তিনি আরও বলেন, আপনারা লক্ষ্য করছেন, সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে। আমরা যদি বাইরে যাওয়া না কমাই তাহলে এটা বাড়তেই থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, এই ভাইরাসটি পৃথিবীতে হঠাৎ করে এসেছে, ভাইরাসটি কেমন আচরণ করবে, এর কী চিকিৎসা, কিভাবে প্রতিরোধ করতে হবে—এসব বিষয় কারও জানা ছিল না। যার ফলে চীনে যখন এটা প্রথম আসে, তখন তাদের মতো বৃহৎ শক্তিও এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। সেখানে অনেক লোক মারা যায়। পাশাপাশি ইউরোপ-আমেরিকাও হিমশিম খেয়ে গেছে, অসংখ্য লোক মারা গেছে। পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে করোনাভাইরাস আঘাত করেছে, বাংলাদেশও তার বাইরে নয়।

মন্ত্রী জানান, ঢাকার ভেতরে ১৪টি হাসপাতালে তিন হাজার শয্যা কোভিড রোগীদের জন্য তৈরি করা আছে, বসুন্ধরার এই অস্থায়ী হাসপাতাল এবং সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী হাসপাতালের শয্যা মিলিয়ে সাড়ে সাত হাজার শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। কোভিড-১৯ জন্য শুরুতে একটি ল্যাবে টেস্ট শুরু হলেও বর্তমানে ৪০টি ল্যাবে পরীক্ষা চলছে, সাড়ে আট হাজার টেস্ট হচ্ছে। আরও প্রায় ১৫টি ল্যাব প্রস্তুত হচ্ছে।

এদিকে,দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক হাজার ২৭৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এটিই এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ২২ হাজার ২৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ১৪ জন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩২৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট সুস্থ হয়েছেন ২৫৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন চার হাজার ৩৭৩ জন।