চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ অবগত হয়েছে যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রশাসন ক্যাডারের একজন অতিরিক্ত সচিবকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগ করা হয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। কারণ প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যাবতীয় চিকিৎসা সামগ্রী ক্রয়ের সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পৃক্ত নন।
এতে আরও বলা হয়, আমাদের জানা মতে আজ পর্যন্ত উক্ত পদে চিকিৎসক কর্মকর্তা ব্যতীত কখনও কাউকে পদায়িত করা হয়নি। নিকট অতীতে উক্ত পদে সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক কর্মকর্তারাই ধারাবাহিকভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তাকে এই পদে নিয়োগ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং ইহা একটি অশনি সংকেতের ইঙ্গিত বহন করছে। তাই অনতিবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহার করে উক্ত পদে আগের মতো একজন চিকিৎসক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা নিয়োগের এই আদেশ বাতিল চেয়েছি। কেন বাতিল চেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ক্যাডারে কেন প্রশাসন ক্যাডারের কেউ পদ দখল করবে? একটা ক্যাডারের কর্মকর্তা আরেকটি ক্যাডারে কীভাবে ঢোকে? এগুলো দখলদারিত্ব শুরু হয়েছে। আমরা এটা হতে দেব না। আমাদের ক্যাডারে অন্য ক্যাডারের কেউ আসবে এটা মানতে পারি না—এটা একেবারেই হেলথ ক্যাডারের পোস্ট। এখানে যে কোনও চিকিৎসক কর্মকর্তাকে দেওয়া হোক—তাতে কোনও অসুবিধা নেই।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) নতুন পরিচালকে হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) আবু হেনা মোরশেদ জামান। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক হিসেবে প্রেষণে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহকে সেনাবহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত আলাদা আদেশ জারি করেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত শুক্রবার (২২ মে) জারি করা আদেশে অতিরিক্ত সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়।