বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গণস্বাস্থ্যের সঙ্গে আজ আমার কোনও বৈঠক ছিল না। আমি বৈঠকের বিষয়ে আপনাদের কাছ থেকে শুনলাম। তারা তো এ বিষয়ে আগে আমাকে কিছু জানায়নি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি কিটের উদ্ভাবক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, না আমরা আজকে যাইনি। আমাদের অ্যান্টিজেন কিটের নমুনা সংগ্রহের যে ডিভাইস বিএসএমএমইউকে দেওয়ার কথা ছিল সেটা পাঠিয়ে দিয়েছি। যদিও গতকাল শুক্রবার (২৬ জুন) রাতে ড. বিজন কুমার বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন, শনিবার তাদের একটি প্রতিনিধি দল বিএসএমএমইউ সঙ্গে দেখা করতে যাবেন।
একটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি প্রতিনিধি দল বিএসএমএমইউ-তে যান। কিন্তু আগে থেকে তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে নিয়ে কোনও কথা বলেনি। ফলে দেখা না করেই ফিরে আসতে হয়েছে তাদেরকে।
ড. বিজন কুমার জানান, মার্কিন কেন্দ্রীয় ওষুধ সংস্থা এফডিএ (ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) নতুন গাইডলাইন অনুযায়ী অ্যান্টিবডি কিটের মান উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি। ওষুধ প্রশাসনও বলেছে তারা এই কিটের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সহযোগিতা করবেন।
এদিকে রাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতরের দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পাঠানো এক বিবৃতিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ওষুধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্যের কিটের নিবন্ধন করার অনুমতি না দিয়ে জনগণের অধিকারের প্রতি অন্যায় ও দেশের প্রতি শত্রুতা করছে। এ ব্যাপারে সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।