বিএসএমএমইউ-এর করোনা সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু

1করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৩৭০ শয্যার করোনা সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। শনিবার (৪ জুলাই) এই কার্যক্রম শুরু হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টা এই করোনা সেন্টারে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও রোগী ভর্তি করা হবে। প্রথম দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৮ জন রোগী এসেছেন এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ছয় জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএসএমএমইউ জানায়, প্রতিদিন তিনটি শিফটে ৬০ জন চিকিৎসক, ১০০ জন নার্স এবং সংশ্লিষ্ট প্যারামেডিক্স, ওয়ার্ডবয়, এমএলএসএসসহ ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ২৬০ জনের টিম কাজ করবে। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ২৬০ জন প্রথম এক সপ্তাহ কাজ করার পর পরবর্তী সপ্তাহে নতুন আরেকটি রোগীদের সেবা প্রদান করবে।

এর আগে সকালে কেবিন ব্লকে করোনা সেন্টার চালুর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন বিএসএমএমইউ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। এই সময় বিএসএমএমইউ-এর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. জুলফিকার আহমেদ আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ৩৭০ শয্যার মধ্যে ‘কেবিন ব্লকে’ শয্যার সংখ্যা ২৫০টি এবং ‘বেতার ভবনে’ শয্যার সংখ্যা ১২০টি। ‘কেবিন ব্লকে’ ২৫০ শয্যার মধ্যে ইমার্জেন্সি রোগীদের জন্য রয়েছে ২৪টি শয্যা এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শয্যা সংখ্যা হলো ১৫টি। কেবিন ব্লকে ‘সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট’ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও রোগীদের সেবা নিশ্চিত করার জন্য হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ইত্যাদি স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি শয্যায় রয়েছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপোর্টসহ অন্যান্য চিকিৎসা সুবিধা। মূলত গুরুতর অসুস্থ রোগীরাই এখানে ভর্তি হবেন। অন্যদিকে, বেতার ভবনের ১২০ শয্যায় ভর্তি হবেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মডারেট রোগীরা।