তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন এ বিষয়ে তার কিছু করার নেই। চিকিৎসকদের সরকারিভাবে কোয়ারেন্টিন বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়।
কোভিড ইউনিটে কাজ করা একাধিক চিকিৎসক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের হোটেল নেই, কোনও আবাসনের ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা তো আমাদের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের আজ ডিউটি শেষ করে বাসায় যেতে হবে। একাধিক চিকিৎসকের পরিবারের একাধিক সদস্য আমাদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন, মারাও গেছেন তিন চিকিৎসকের বাবা ও শ্বশুর। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোনও সমাধান আমরা পাইনি। আমরা কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এর ভেতরে কোয়ারেন্টিনের কোনও সমাধান না হলে, আমরা করোনা ইউনিটে আর ডিউটি করবো না। তবে হাসপাতালের নন-করোনা ইউনিটে ডিউটি করবো।’
পাশাপাশি প্রায় ৬৫ জন চিকিৎসক হাসপাতাল পরিচালক বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া পরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চিকিৎসকদের দাবি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো বলে তাদের জানিয়েছি। ইতোমধ্যে আমি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং মন্ত্রণালয়কেও এটা জানাবো।’
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা আমাদের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন, তাদের আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য।’
পরিপত্র অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকার মধ্যে দায়িত্ব পালনকারী একজন চিকিৎসক দৈনিক দুই হাজার টাকা এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ৮০০ টাকা, একজন নার্স ঢাকার মধ্যে এক হাজার ২০০ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার টাকা এবং একজন স্বাস্থ্যকর্মী ঢাকার মধ্যে ৮০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৬৫০ টাকা ভাতা পাবেন।