ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আবু সাঈদের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী রকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আহমেদ খান। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, প্রায় সব আইনজীবী এবং নিম্ন আদালতের বিচারকরা মেডিক্যাল অবহেলা মামলা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। আর চিকৎসক হয়রানিতে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর ভূমিকা দৃশ্যমান ও কার্যকর নয়।’
তাই বিএমডিসির ট্রাইব্যুনাল সক্রিয় করা, বিএমডিসিকে তাদের আইন জোরদার করা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত অসদাচরণ রোধে তাদের তদারকি বাড়ানোর সুপারিশ করেন তিনি।
ওয়েবিনারে বিএমডিসি এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) বা বিচারকদের চিকিৎসায় অবহেলা আইন বিষয়ে ভালো জ্ঞান না থাকলে সুষ্ঠু বিচার পাওয়া যায় না। সুতরাং এ আইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে জ্ঞান থাকতে হবে।’
আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘চিকিৎসায় অবহেলা আইন বিষয়ে আইনজ্ঞদের যথেষ্ট ধারণা না থাকায় তারা অতিসহজে রোগীর স্বজনদের পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। এর ফলে চিকিৎসকদের ঠুনকো বিষয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়।’
তিনি চিকিৎসকদের মধ্য থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করার পরামর্শ দেন এবং চিকিৎসায় অবহেলা আইন বিষয়ে সবার মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিএমএ’র প্রতি আহ্বান জনান।
বিএমএ’র মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘সরকার এবং গণমাধ্যম যদি সৎ না হয়, তাহলে জাতীর ধ্বংস অবসম্ভাবী। দেশে আমলাতান্ত্রিকতার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেলে দেশে সুষ্ঠু চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব নয়। আর এ কারণে দেশের রোগীরা ছোট-খাটো সমস্যা নিয়েও বিদেশে যেতে বাধ্য হন।’
দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘চিকিৎসা ব্যবস্থায় চিকিৎসক, সেবাগ্রহীতা, সাংবাদিক—সবারই তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহে সাবধানে পথ চলতে হবে।’
অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, বিভিন্ন পেশাজীবী, সাংবাদিকসহ অন্যরা আলোচনায় অংশ নেন।