ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল প্রচার!

মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত দুইজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তারা দু’জনই নারী। সেই হাসপাতালে আরটি পিসিআর পরীক্ষার সুবিধা না থাকায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয় এবং তাতে ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচার করা হয় যে - ডিএনসিসি হাসপাতালে ওই দুই নারীর শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। অথচ তাদের জিনোম সিকয়েন্সিং এখনও চলমান। তাদের মধ্যে আদৌ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আছে কিনা সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে রবিবার পর্যন্ত।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে শুক্রবার (১৪ মে) দুপুর থেকে প্রচার করা হয়, ডিএনসিসি হাসপাতালে দু’জন রোগীর মধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এরপর আরও কিছু দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন পত্রিকায় খবরটি ঢালাওভাবে প্রচার করা হয়। খবরটিতে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনকে উদ্ধৃতি করা হয়। কিন্তু তিনি এমন কিছু কোনও গণমাধ্যমকে বলেননি বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন।

নাসির উদ্দিন বলেন, গতকাল আমি বলেছি হাসপাতালে দু’জন রোগী আছেন। আইইডিসিআর তাদের স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখেছে তারা কোভিড-১৯ পজিটিভ। তাদের দু’জনেরই ভারত ভ্রমণের ইতিহাস থাকায় আমি আইইডিসিআরকে বললাম তাদের নমুনা সিকয়েন্সিং করে দেখতে। আমি বার বার স্পষ্ট করে বলেছি, ভারত থেকে ফেরত আসা কিংবা ফেরত এসে করোনা পজিটিভ হওয়া মানেই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া নয়। এর জন্য সিকয়েন্সিং করে দেখে নিশ্চিত হওয়া যাবে। কয়েকটি গণমাধ্যম যেভাবে আমাকে উদ্ধৃতি করে খবর প্রচার করেছে তাতে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করার কোনও মানে হয় না। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, তাদের সিকয়েন্সিং চলছে। আশা করি আগামীকাল দুপুর নাগাদ ফলাফল পাবো। তখন সবাইকে জানাতে পারবো।