দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৩৭ জন। যা গত দেড় মাসের মধ্যেও সর্বোচ্চ শনাক্ত। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল দুই হাজার ৯৫৫ জন একদিনে শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার (৯ জুন) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৩৬ জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল অধিদফতর।

গত ২৪ ঘণ্টায়  করোনার নমুনা সংগ্রহীত হয়েছে ২০ হাজার ৬০৪টি। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন এপ্রিলের শেষ নাগাদ দেশে সংক্রমণের যে নিম্নমুখীতা ছিল সেটা ঈদের পর বেড়ে যাবে। আর এখন তার সঙ্গে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যুক্ত হয়ে দেশের সংক্রমণ পরিস্থিতিকে আবারও শঙ্কার মুখে ফেলেছে। আর এবারে সংক্রমণ বৃদ্ধি শুরু হয়েছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে। তবে ধীরে ধীরে সে সংক্রমণ পুরো দেশেই ছড়িয়ে পরছে বলে জানিয়েছে খোদ স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া সরকারের রোগতত্ত্ব , রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষনা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে দেশে প্রাপ্ত নমুনার ৮০ শতাংশ ভারতের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। তাদের ধারণা দেশে ভারতীয় এই ভ্যারিয়েন্টের সামাজিক সংক্রমণ ঘটেছে।

এদিকে, দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ আরোপের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিথিলতার পরিচয় দিলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার করোনা বিষয়ক ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ আশঙ্কার কথা বলেন অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

৪ জুন থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে এবং সেটা গতকাল (৮ জুন) পর্যন্ত বেড়ে ১২ শতাংশের বেশি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী কিছু জেলায় স্বাস্থ্য প্রশাসনের পরামর্শে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করছে। এটা সবার মঙ্গলের জন্য করা হচ্ছে।

আর এই বিধিনিষেধে জনগণের সহায়তার জন্যই করা মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনও জায়গায় শিথিলতার পরিচয় দিলে সেটি আমাদের জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না।