ফাঁকা আইসিইউ বেডের সংখ্যা মাত্র ৪৮

স্বাস্থ্য অধিদফতর আশঙ্কা করেছিল, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এভাবে চলতে থাকলে হাসপাতালের শয্যা খালি থাকবে না, ফাঁকা পাওয়া যাবে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। সে আশঙ্কাকেই সত্যি করে দিনকে দিন কমে আসছে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেডের সংখ্যা। 

গতকাল রবিবার (১৮ জুলাই) ৫৭টি আইসিইউ বেড ফাঁকা ছিল। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন মাত্র ৪৮টি আইসিইউ বেড ফাঁকা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ২৩১ জন, যা আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। আর মৃত্যুর এই নতুন রেকর্ডের দিনে দৈনিক শনাক্ত ফের ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, রাজধানী ঢাকার করোনা ডেডিকেটেড ১৬টি হাসপাতালগুলোর মধ্যে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা হলেও সেখানে তাদের জন্য আইসিইউ নেই।

বাকি ১৩টি হাসপাতালের মধ্যে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ১০ বেড, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ছয় বেড়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২০ বেড, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২৪ বেড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১০ বেডের সবক’টিতে রোগী ভর্তি।

আর কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের ২৬ বেডের মধ্যে একটি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬ বেডের মধ্যে একটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ১৫ বেডের মধ্যে তিনটি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আট বেডের মধ্যে একটি, টিবি হাসপাতালে ১৬ বেডের মধ্যে ১২টি, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ বেডের মধ্যে চারটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বেডের মধ্যে একটি আর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ২১৫ বেডের মধ্যে মাত্র ২৫টি ফাঁকা রয়েছে।

অর্থাৎ রাজধানী ঢাকার করোনা ডেডিকেটেড ১৬ হাসপাতালের ৩৯৩টি আইসিইউ বেডের মধ্যে মাত্র ৪৮টি বেড এই মুহূর্তে ফাঁকা রয়েছে।