৭৭৫ জন জনবল চেয়েছে ডিএনসিসির করোনা হাসপাতাল

প্রতিষ্ঠান পর থেকে নানা সমস্যায় ভুগছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন-ডিএনসিসি’র  ‘ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’। এই হাসপাতালে বর্তমানে যে জনবল রয়েছে, তা খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে আগত রোগীদের চিকিৎসাসেবা চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় সরকারের কাছে ডাক্তার-নার্সসহ আরও ৭৭৫ জন জনবল চেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি  নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে (মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এক হাজার বেডের এই হাসপাতালে ৫৬৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। আইসিইউ এবং এসডিইউ ফাঁকা নেই। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫০০ বেডে সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে সেগুলোতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন যুক্ত করার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। শিগগিরই আমরা আরও  বেশি ক্রিটিকাল রোগি ভর্তি নিতে পারবো।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘তখন কিন্তু আমাদের এই জনবল দিয়ে হবে না। বর্তমানে যে জনবল রয়েছে, তা দিয়ে এই রোগীদের চিকিৎসা দিতেও আমাদের কষ্ট হচ্ছে। তাই আমরা মন্ত্রণালয়ে আরও  জনবলের জন্য চাহিদা পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি বুঝতেছে। নতুন যে জনবল নেওয়া হচ্ছে, সেখান থেকে আমাদেরকে দেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সবচেয়ে বড় করোনা হাসপাতাল হচ্ছে আমাদের এই হাসপাতাল। আমরা কম সংখ্যক জনবল দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা তো সেনাবাহিনীর লোক। তাই বলবো, আমরা হারবো না। আমরা ২০০ জন ডাক্তার, ৩০০ জন নার্স, ২০০ জন কর্মচারী এবং ৭৫ জন আনসার সদস্য চেয়েছি। অনেক চিঠি দিয়েছি। যোগাযোগ করা হয়েছে। এটা হলে আমরা পূর্নাঙ্গ এক হাজার বেডের হাসপাতাল পরিচালনা করতে পারবো। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ রাখছি। তারা দিতে আগ্রহী।’