করোনায় নারীমৃত্যু পুরুষের দ্বিগুণ

গত একদিনে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন আর নারী ২৫ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৪৭৪ জন এবং নারী ৯ হাজার ৬৭৩ জন।

গত ১২ আগস্টে দেশে করোনা মহামারিকালে প্রথম পুরুষ মৃত্যুকে ছাড়িয়ে যায় নারীমৃত্যু। সেদিনই প্রথম বারের মতো একদিনে মৃত্যুর তালিকাতে পুরুষের চেয়ে নারী মৃত্যু বেশি ছিল। সেদিন অধিদফতর জানায়, করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ২১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০৭ জন আর নারী ১০৮ জন।

করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে দেশে পুরুষের আক্রান্তের হার এবং মৃত্যুহার বেশি ছিল। নারীর তুলনায় পুরুষ বাইরে যান বেশি, যার কারণে তারা আক্রান্ত হন বেশি। আর আক্রান্ত হলে মৃত্যুও বেশি হবে এতদিন জানিয়ে এসেছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে নারীদের আক্রান্ত এবং মৃত্যুহার কম ছিল। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে নারী মৃত্যু বেড়ে যায়। আর এখন বর্তমানে দৈনিক মৃত্যুতে পুরুষের তুলনায় কোনও কোনও দিন নারী মৃত্যু বেশি হচ্ছে।

নারী মৃত্যুর জন্য বিশেষজ্ঞরা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের দাপটের কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে টিকা গ্রহণে নারীর পিছিয়ে থাকাতেও কারণ হিসেবে বলছেন তারা।

জাতীয় টিকা পরামর্শক কমিটি (ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ) নাইট্যাগ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ মনে করেন টিকা গ্রহণে পিছিয়ে থাকার কারণে নারী মৃত্যু বাড়ছে। হরমোনাল কারণে নারীরা এতদিন সুরক্ষা পেলেও টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের এগিয়ে থাকায় নারীমৃত্যু বাড়ছে।

তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই নারীর হার কম ছিল। এখনও তাই। ফলে পুরুষরা টিকা নিয়ে সুরক্ষা পেলেও নারীরা ততোটা পাচ্ছেন না।