বঙ্গভ্যাক্স: বানরের শরীরে টিকা পরীক্ষার ফল বিএমআরসিতে জমা

বানরের শরীরে বঙ্গভ্যাক্স টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল বিএমআরসিতে (বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল) জমা দিয়েছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। সোমবার (১ নভেম্বর) দুপুরে এটা জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, সোমবার দুপুরে আমরা বিএমআরসিতে সবকিছু জমা দিয়েছি। একইসঙ্গে বিএমআরসির তৃতীয় চিঠির সব প্রশ্নের জবাবও দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে বিএমআরসির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পূর্ব শর্তসহ সব পর্যবেক্ষণের যথাযথ উত্তর দেওয়া শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি। এখন বিএমআরসি অনুমোদন দিলে চলতি নভেম্বর মাসেই তারা মানবদেহে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে পারবেন।

ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, যদি বিএমআরসি দ্রুত নৈতিক অনুমতি দিয়ে দেয় তাহলে আমরা ঔষধ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে নভেম্বরের মধ্যেই মানবদেহে পরীক্ষা শুরু করতে পারবো। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন, এ টিকার কার্যকারিতা নিয়ে বানরের শরীরে (অ্যানিমেল ট্রায়াল) যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছিল, তাতে এর কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহেও অনুরূপভাবে কাজ করবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রাথমিক ফলাফলে আমাদের ভ্যাকসিনটি বানরের শরীরে নিরাপদ এবং কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। একই সঙ্গে সেই অ্যান্টিবডি সাত দিনের মধ্যেই করোনাভাইরাসকে নিউট্রালাইজ করতে পেরেছে। এতে প্রমাণিত হয়, আমাদের ভ্যাকসিন অতি সংক্রমণশীল ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ সার্স-কোভ-২-এর যে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে, সেগুলোও নিউট্রালাইজ করতে সক্ষম ।

এর আগে গত বছরের ২ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি দেশে প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। সেদিন প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গত ৮ মার্চ তারা এই টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু করেন। ৫ অক্টোবর গ্লোব জানায়, তারা সফলভাবে প্রাণিদেহে ট্রায়াল সম্পন্ন করেছেন।

এরপর গত ১৭ জানুয়ারি খরগোশের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফল হয়েছেন জানিয়ে গ্লোব বায়োটেক তাদের উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিন বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রটোকল জমা দেয় বিএমআরসিতে।