শনাক্তের ৮০ শতাংশই ঢাকার

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজারের কাছাকাছি, আর এ সময় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে প্রায় সাত শতাংশ। শনাক্তের ৮০ শতাংশই রোগীই ঢাকার।

রবিবার (৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে। অধিদফতরের তথ্যমতে, ৮ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮ট পর্যন্ত করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৪৯১ জন, শনাক্তের হার ছয় দশমিক ৭৮ শতাংশ।

তথ্যমতে, নতুন করে যে এক হাজার ৪৯১ জন শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে এক হাজার ১৯৬ জনই ঢাকা মহানগরসহ ঢাকা জেলার। অর্থাৎ মোট শনাক্তের হার ৮০ দশমিক ২১ শতাংশই ঢাকা জেলার।

ঢাকা মহানগর, জেলা ও  বিভাগে এ সময় মোট শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৫৪ জন।

জনস্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় করোনার অতিসংক্রমণশীল ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের ক্লাস্টার ট্রান্সমিশন হয়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সেটা পুরো দেশে ছড়িয়ে পরতে সময় নেবে না।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বর্তমান উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘এটা ওমিক্রনের প্রভাব। বাংলাদেশে এর শুরু হয়েছে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। ঢাকায় ওমিক্রনের ক্লাস্টার ট্রান্সমিশন হচ্ছে।’

অধিদফতরের রবিবারের তথ্যানুযায়ী, মোট শনাক্ত হওয়া এক হাজার ৪৯১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ঢাকামহানগর ও ঢাকা জেলায় শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ১৯৬ জন। এ বিভাগের অন্য জেলাগুলোর মধ্যে গাজীপুরে ২৭ জন, নারায়ণগঞ্জে ১০ জন, ফরিদপুর ও টাঙ্গাইলে পাঁচ জন করে, কিশোরগঞ্জ ও মানিকগঞ্জে চার জন করে, নরসিংদীতে দুই জন, আর মুন্সিগঞ্জ জেলায় শনাক্ত হয়েছেন একজন।

ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ আর জামালপুর জেলায় একজন করে, আর শেরপুর জেলায় শনাক্ত হয়েছেন দুই জন।

চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলায় ১০৪ জন, কক্সবাজারে ১৬ জন, রাঙ্গামাটিতে ছয় জন, কুমিল্লায় চার জন, আর নোয়াখালীতে শনাক্ত হয়েছেন একজন।

রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলায় ১৪ জন, নাটোর ও পাবনায় ছয় জন করে, বগুড়া ও জয়পুর হাটে চার জন করে, নওগাঁয়ে দুই জন, আর চাঁপাইনবাবগঞ্জে শনাক্ত হয়েছেন একজন।

রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে সাত জন, রংপুরে তিন জন, আর কুড়িগ্রামে শনাক্ত হয়েছেন একজন।

খুলনা বিভাগের যশোর জেলায় ২১ জন, খুলনায় তিন জন, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহে দুই জন করে, আর বাগেরহাট ও কুষ্টিয়ায় শনাক্ত হয়েছেন একজন করে।

বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলায় একজন, আর সিলেট বিভাগের সিলেট জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ২৩ জন।