অসংক্রামক রোগ স্বাস্থ্যঝুঁকি ও উদ্বেগের কারণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

অসংক্রামক রোগ বাংলাদেশের জন্য ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি ও উদ্বেগের কারণ হচ্ছে। শতকরা ৬৭ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী অসংক্রামক রোগ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বুধবার ( ২৬ জানুয়ারি) দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হওয়া জাতীয় অসংক্রামক রোগ বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স-২০২২ বাংলাদেশ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বুধবার থেকে শুরু হওয়া সম্মেলন চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এটি আয়োজন করেছেন  স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ, বাংলাদেশ নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ ফোরাম (বিএনসিডিএফ), বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল রিসার্চ প্লাটফর্ম এবং বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামসহ ৩০টি জাতীয় ও আন্তুর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।

দেশে ২০ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে, ১০ শতাংশ ডায়াবেটিসে ভোগে। প্রতি বছর এই তালিকায় ৫০ হাজার মানুষ যোগ হয় জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জীবন যাত্রার পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, ওবেসিটি, তামাকের ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ, অপর্যাপ্ত কায়িক পরিশ্রম, ওষুধের অপব্যবহারের কারণে দেশে অসংক্রামক রোগ বেড়েই চলেছে। এটি প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। নিয়মিত চেকআপ ও ‘আর্লি ডিটেকশন’ এনসিডিসি প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তবে এজন্য চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানো ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন জানিয়ে তিনি জানান, সরকার এনসিডিসি প্রতিরোধে সেক্টর ভিত্তিক প্রোগ্রাম নিয়েছে। দেশের আট বিভাগে ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগের হাসপাতাল স্থাপন করা হচ্ছে। দেশের সব জেলা হাসপাতালে ১০ বেডের ডায়ালাইসিস ও আইসিইড বেড স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলা হাসপাতালসহ দেশের সব হাসপাতালে এনসিডি কর্নার করা হয়েছে।

দেশে বর্তমানে করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্তের হার ৩২ শতাংশ জানিয়ে সংক্রমণ রোধে সবাইকে মাস্ক পরা, জনসমাগম এড়ানো ও ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

কনফারেন্সে জুমের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রেস আধানম গেব্রিয়েসিস বলেন, অসংক্রামক ব্যাধির কারণে বাংলাদেশসহ মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রাইমারি হেলথ কেয়ার পর্যায়ে এই রোগগুলোর চিকিৎসা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তামাকের ব্যবহার, আনহেলদি লাইফস্টাইলের কারণে এনসিডি বাড়ছে। এনসিডিসি কন্ট্রোল ও প্রিভেনশনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।