কোভিড আক্রান্তের একবছর পরও উপসর্গ থাকে: আইইডিসিআর

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার একবছর পরও কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গ দেখা যেতে পারে। আর অসংক্রামক রোগী যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের কোভিড পরবর্তী উপসর্গ থাকার ঝুঁকি ২ থেকে ৩ গুণ। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এক গবেষণা শেষে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) এসব কথা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির সহযোগিতায় আইইডিসিআরের ফিল্ড এপিডেমিওলজি ট্রেনিং প্রোগ্রাম (এফইটিপি-বি) কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের প্রাথমিক উপসর্গ পরবর্তী জটিলতাগুলো নিয়ে গবেষণা করেছে। তবে কবে থেকে এবং কতজন রোগীর ওপর এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে তা জানায়নি আইইডিসিআর।

অনেক কোভিড আক্রান্ত রোগী সংক্রমণের পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উপসর্গে ভুগে থাকেন, যাকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গ বা পোস্ট কোভিড কন্ডিশনস বলছে।

বুধবার গবেষণার প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর তাদের ওয়েবসাইটে এসব তথ্য দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ৩ মাস পর ৭৮ শতাংশ মানুষের শরীরে উপসর্গ দেখা গেছে। এছাড়া ৬ মাস পর ৭০ শতাংশ, ৯ মাস পর ৬৮ শতাংশ এবং একবছর পর ৪৫ শতাংশ মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গ দেখা গেছে।

গবেষণার বরাত দিয়ে আইইডিসিআর বলছে, অসংক্রামক রোগ-উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কোভিড পরবর্তী উপসর্গের আশঙ্কা ২ থেকে ৩ গুণ বেশি। ‘এতে প্রতীয়মাণ হয় যে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কোভিড পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়া কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া জরুরি।’

আইইডিসিআর জানিয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন, তাদের কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা, যারা ওষুধ সেবন করেন না তাদের তুলনায় ৯ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। একইভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে নিয়মিত ওষুধ সেবনকারী কোভিড-১৯ পরবর্তী উপসর্গে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা, যারা ওষুধ সেবন করেন না তাদের তুলনায় প্রায় ৭ ভাগ কমে যায়।