এই মুহূর্তে বাড়তি টিকার প্রয়োজন নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের এখন ৯ কোটি টিকা স্টকে আছে। প্রায় ১৬ কোটি দিয়ে ফেলেছি। অর্থাৎ প্রায় ২৬ কোটি টিকা পেয়েছি। আরও পাঁচ কোটি আসবে। এই মুহূর্তে বাড়তি টিকার প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘সিনোফার্মের সঙ্গে একটি চুক্তি আছে বেসরকারি একটি কোম্পানির। আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুত আছি। যখনই বলবো টিকা লাগবে, তখনই তারা কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। তবে এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই বলে সেদিকে জোর দিচ্ছি না। আমরা সরকারিভাবে টিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালী বিসিপিএস প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের প্রথম ডোজ ৯ কোটি ৭০ লাখ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছি ছয় কোটির বেশি। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ভালো কাজ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ১ কোটি ৪০ লাখ ডোজ দেওয়া হয়েছে। এই মাসে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা একমাসে দিয়েছি। এটা অনেক ভালো অর্জন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা মোট টিকা ১৫ কোটি ৭০ লাখ পর্যন্ত দিয়েছি। আশা করছি ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবো। প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজ একই হারে বাড়তে থাকবে। সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আছে আমাদের। ১০ কোটি দেওয়া হয়ে গেলে আড়াই কোটি মানুষ বাকি থাকে।

টিকা দিতে এখন লোক পাওয়া যাচ্ছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মানুষ কম আসছে। টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা ওয়ার্ড পর্যন্ত আছে। সেই হারে মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের বিভিন্ন সমিতি যারা আছে, যেমন বাস মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, তাদের লোকেরা অনেকেই টিকা নেয়নি। তাদের টিকা নিতে যেন বাধ্য করা হয় এজন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। ফেডারেশন অব কমার্স, চেম্বার ইন্ডাস্ট্রি তাদেরও চিঠি দেবো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ার বয়সসীমা আরও কমানো হয়েছে। ৪০ বছর করেছি। এতে আরও বেশি টিকা দিতে পারবো।