বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পাবেন ২ লাখ পোশাক শ্রমিক

বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পাবেন দুই লাখ পোশাক শ্রমিক। ইউএসএআইডি ও সেভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগিতায় ডিজিটাল হাসপাতাল এই সুবিধা দেবে। একইসঙ্গে তৈরি পোশাক কারখানার স্বাস্থ্য সেবাকর্মীদের কোভিড-১৯ বিষয়ক সচেতনতা ও জ্ঞান বাড়াতেও সহায়তা দেবে হাসপাতালটি।

রবিবার (৩০ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা খাতে ডিজিটাল হাসপাতাল ‘সবার জন্য সুস্বাস্থ্য’ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে বিজিএমইএ ও বেপজা’র অধীনে কারখানাগুলোর সহযোগিতায় সেভ দ্য চিলড্রেন বাস্তবায়িত ইউএসএআইডি’র ‘মামনি মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্প: কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারিতে জরুরি সহায়তা প্রকল্প’ এর সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে। এ উদ্যোগের প্রথম পর্যায় সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে দেড় লাখ পোশাক শ্রমিক ও বস্তিবাসী এবং এর আশেপাশের এলাকার মানুষকে সেবা দিয়েছে।          

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ উদ্যোগের দ্বিতীয় পর্যায়ে দুই লাখ পোশাক শ্রমিক চর্মরোগ, মনোরোগ, স্ত্রীরোগ, মেডিসিন ও শিশুরোগসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছ থেকে বিনামূল্যে প্রয়োজন অনুযায়ী পরামর্শ নিতে পারবেন। তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে মেডিক্যাল সুবিধার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব সেবা সংযুক্ত থাকবে, যার মাধ্যমে পোশাক শ্রমিকরা সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে মেডিক্যাল সেন্টার থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ও সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ডিজিটাল হসপিটাল অ্যাপের মাধ্যমেও পোশাক শ্রমিকরা এ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। 

উল্লেখ্য, তৈরি পোশাক শিল্প খাতে ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক রয়েছেন। তারা আমাদের সামগ্রিক শ্রমশক্তির অন্যতম ভিত্তি হিসেবে কাজ করেন। এ শ্রমিকদের বেশিরভাগই নারী এবং এদের বেশিরভাগই অনুন্নত আর্থ-সামাজিক অবস্থা থেকে এসেছেন এবং এজন্য মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবাকে তারা বিলাসিতা হিসেবে গণ্য করেন। অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ৭২ শতাংশ পোশাক শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা মেটানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর্থিক সক্ষমতা নেই। তাই তাদের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ, পোশাক শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে এবং দেশের জনসংখ্যার গুরুত্বপূর্ণ এ অংশের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অবদান রাখবে বলে মনে করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

এ বিষয়ে ডিজিটাল হসপিটালের সিসিও অ্যান্ড্রু স্মিথ বলেন, ‘এ উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের বিশ্বাস আমরা  অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ পোশাক শ্রমিকদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবো। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুবিধা তাদের জীবনের এবং একইসঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনের মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’