বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘জনসংখ্যা ও সম্পদ এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্যের ওপর জোর দিতে হবে। জনসংখ্যা বাড়লে কৃষি জমি কমবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও চাপ তৈরি করবে।’ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের সভাকক্ষে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘৮০০ কোটির পৃথিবী: সকলের সুযোগ, পছন্দ ও অধিকার নিশ্চিত করে প্রাণবন্ত ভবিষ্যৎ গড়ি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করেন, ‘শিল্প বাড়লে জনসংখ্যা আরও বাড়বে। করোনার প্রভাবে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমছে। বাড়ি ও শিল্প তৈরির কারণে কৃষি জমি কমছে। জনসংখ্যা আরও বাড়লে খাদ্যের উৎপাদন কমবে, খরচ বাড়বে।’

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দিয়ে জাহিদ মালেকের মন্তব্য, ‘বাল্যবিয়ে রুখতে হবে। পরিবার পরিকল্পনায় আরও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমিত রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।’

পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার কথায়, ‘দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের সব ধরনের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা দেখতে হয় সরকারকে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে সীমাবদ্ধতা আছে। ফলে দেশের জনসংখ্যা সঠিক পর্যায়ে রাখতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মতোই অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তার দৃষ্টিতে, ‘সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কোনও বিকল্প নেই। অন্যথায় স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। পরিকল্পিত পরিবার গড়তে পারলে জনসংখ্যা বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হবে।’

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে পরিবার পরিকল্পনায় অবদানের জন্য সেরাদের ক্রেস্ট দেওয়া হয় (ছবি: মাহফুজ সাদী)

আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোকাস এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মো. খোরশেদ আলম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু। আলোচনা শেষে থিম সং ও প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। সবশেষে পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার ক্ষেত্রে সেরাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।