বিজয়ের মাসে চালু হবে দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল

বিজয়ের মাসে দেশের প্রথম সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দ্রুত চালুর বিষয়ে বুধবার (৩০ নভেম্বর) আয়োজিত একটি সমন্বয় ও পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে অনুষ্ঠিত এ সভায় জানানো হয়, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই চালু হচ্ছে বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। শুরুর দিকে ওপিডি ও ল্যাব সার্ভিস চালু করা হবে। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের কার্ডিওভাসকুলার ও স্ট্রোক সেন্টার, মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ সেন্টার, কিডনি ডিজিজেস ও ইউরোলজি সেন্টার, হেপাটোবিলিয়ারি, পেনক্রিয়েটিক, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট ও গ্যাস্ট্রোঅ্যান্টারোলজি সেন্টার, ইমাজেন্সি মেডিক্যাল কেয়ার ট্রমা সেন্টারসহ বিভিন্ন সেন্টারগুলো চালু করা হবে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশের রোগীদের চিকিৎসেবার প্রয়োজনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দ্রুত চালুর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ, প্রশিক্ষিত জনবল নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশের রোগীদের স্বার্থে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল দ্রুত চালু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুসারে সব কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হাসপাতালটি যাতে বিশ্বমানের আদলে চালু করা যায় সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ভারতের এমইস এবং সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে যথাসময়ে না আসায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। সময় মতো যন্ত্রপাতি এলে ইতোমধ্যেই হাসপাতালটি চালু করা যেতো। তবে আশা করছি, যেভাবে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে এই বিজয়ের মাসেই দেশের মানুষের বহুল কাঙ্ক্ষিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা সম্ভব হবে।’