উচ্চশিক্ষার প্রসারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা তৈরির পরামর্শ ইউজিসির

উচ্চশিক্ষা প্রসারে আগে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি কর্মপরিকল্পনার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন পর্যালোচনা সংক্রান্ত একটি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন। সোমবার (২৮ আগস্ট) ইউজিসি এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘দেশে অনেক সময় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা আছে কিনা তা যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিভিন্ন বিষয়ের ওপর উচ্চশিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে নানা সংকট তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার মান হচ্ছে নিম্নমুখী। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সক্ষমতা তৈরি করে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট তৈরি করে হল নির্মাণ করা হচ্ছে। এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অ্যাকাডেমিক মাস্টার প্লান অনুযায়ী অবকাঠামো তৈরির আহ্বান জানান তিনি।’

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘সরকার প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুণগত শিক্ষা ও মানসম্মত গবেষণা পরিচালনা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কীভাবে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা যায় এবং গ্রাজুয়েটরা যাতে বিশ্ব চাকরি বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেন গবেষণামুখী হয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রকাশিত হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক আলমগীর বলেন, ‘বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোনও ধরনের র‌্যাগিং এবং শিক্ষার্থী নির্যাতন না হয় সেদিকে কঠোর দৃষ্টি দিতে হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে তা দ্রুত বিবেচনায় নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন ইউজিসির উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে ফেরদৌস জামান বলেন, ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্য বাস্তবসম্মত। এসব লক্ষ্য যথাযথভাবে অর্জন করতে হবে।’

প্রশিক্ষণে ইউজিসির জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য এবং ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও নৈতিকতা কমিটির ফোকাল পয়েন্টরা অংশ নেন। কর্মশালায় কর্মপরিকল্পনার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করা হয়।