হাসপাতালের যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরীক্ষার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর  

হাসপাতালে অগ্নি-দুর্ঘটনা এড়াতে দায়িত্বরতদের নিয়মিত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা ও ফায়ার ড্রিল করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে মেডিক্যাল গ্যাস সিস্টেম প্রতিস্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত বিষয়ক গাইডলাইন এবং এসওপিগুলোর মোড়ক উন্মোচন ও অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই পরামর্শ দেন।

যৌথ এই সভার আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও ইউনিসেফ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই না অগ্নি-দুর্ঘটনা ঘটুক, মানুষ মারা যাক, প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হোক। তাই হাসপাতালে অক্সিজেন ব্যবহারের গাইডলাইন জানা দরকার। হাসপাতালের দায়িত্বে যারা আছেন, তাদের নিয়মিত ফায়ার ড্রিল করা উচিত। পাশাপাশি যন্ত্রপাতিগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে। প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আগে দৈনিক ৭০-৮০ টন অক্সিজেন প্রয়োজন হতো। করোনার সময় তা বাড়তে বাড়তে ৩০০ টন ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু তখন আমাদের অক্সিজেন তৈরির সক্ষমতা ছিল ১০০ টনের মতো। তখন আমরা অক্সিজেনের লিকুইড প্ল্যান্ট বসালাম। ১০০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন দিলাম। বিদেশ থেকে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা আনলাম। অক্সিজেন জেনারেটর আনলাম। আমরা সময়মতো অক্সিজেন দিতে পেরেছিলাম বলেই করোনায় আমাদের রোগী কম মারা গেছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসা সেবায় অক্সিজেন যেমন প্রয়োজন, তেমনই এটি সংবেদনশীলও। কারণ, অক্সিজেন ছাড়া মানুষ এক মিনিটও বাঁচতে পারে না। আবার অক্সিজেনের মিস ইউজ হয়, লিকেজ হয়। তাহলেও আপনি মারা যেতে পারেন। তাই অক্সিজেনের ব্যবহারের পাশাপাশি এর সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন, গাইডলাইন প্রয়োজন। যারা সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন, তাদের ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক ও সিডিসির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।