বিএসএমএমইউ’তে রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার করা হবে: উপাচার্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা খুব শিগগিরই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গবেষণার কাজ শুরু করবো। তাদের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রিসার্চ ইনোভেশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ সেন্টারের মাধ্যমে ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। সবার মনে রাখা দরকার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের গবেষণা করার সক্ষমতা রয়েছে। তারা চাইলেই গবেষণা করতে পারে। তবে তাদেরকে গবেষণার কাজে আগ্রহী করতে হবে। গবেষণা করার পদ্ধতি শেখাতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শরীরের নিম্নাংশের চর্বি কেন ডায়বেটিস ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করে?’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এ সেমিনারের আয়োজন করে ফিজিওলজি বিভাগ।

সেমিনারে সুইডেনের উপসালার এনকোপিং হাসপাতালের ডায়বেটিস ও এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেফতুন আহমেদ খন্দকার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তাসকিনা আলী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ড্রোক্রাইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ হাসনাত।

সেমিনারে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রত্যেক গবেষণার উদ্দেশ্য রোগ প্রতিরোধ করা। আমরা গবেষণার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে সেটি যেন জনস্বার্থ সম্পৃক্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে এমন বেশ কিছু গবেষণা কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আমরা ফ্রেঞ্চফ্রাই, ফাস্ট ফুডের উপর গবেষণা করেছি। এসব গবেষণার পর বলতে পারি, যেসব খাবারের স্বাদ যত বেশি সেসব খাবারের অধিকাংশই শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

উপাচার্য আরও বলেন, যারা ফ্যাকাল্টি আছেন তারা গবেষণা করবেন। যারা গবেষণা করছেন তাদের গাইড দেবেন। আমরা কোভিডের সময় অনেক গবেষণা করেছি। সারা বিশ্বেও হাজার গবেষণা হয়েছে। আমাদের গবেষণার ফল অনেক রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার সময় কাজেও লেগেছে। কিছুদিন আগে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল। সেসব নিয়েও আমাদের গবেষণা চলছে। আমরা এমনভাবে গবেষণা করবো যাতে আগাম রোগের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জানতে পারি। আর এসব গবেষণার কাজে তরুণদের অনুপ্রেরণা দেবো। কারণ তরুণ গবেষকদের হাতেই আমরা নিরাপদ থাকতে চাই। তরুণ নবীন রেসিডেন্টদের গবেষণার হাত ধরেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।