মিয়ানমারে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা’ দিবস পালন

জাতিসংঘ ঘোষিত ‘সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এই আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), ইউএনঅপস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, থাইল্যান্ড ও সুইডেনসহ বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা।

দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত জনস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরসহ শিক্ষার্থীরা সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা দিবস-২০২৩ অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন। তারা এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।

২০১৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘বিশ্বস্বাস্থ্য ও কূটনীতি’ শীর্ষক একটি প্রস্তাবনার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. মো. মনোয়ার হোসেন ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সকল জনগণের জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের বিষয়ে উপস্থিত সকলকে অবহিত করেন।

তাছাড়া বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সূচকসমূহ তুলে ধরে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবায় বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ফলে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারিভাবে কম খরচ করা সত্ত্বেও নীতির ধারাবাহিকতা, স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মদক্ষতা, ঔষধ উৎপাদনের সক্ষমতা ও স্বল্প সম্পদের দক্ষ ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় কম খরচে ভাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্যতম উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃত হয়ে আসছে।

এদিকে ইয়াঙ্গুন জনস্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর প্রফেসর হ্লা হ্লা উইন মিয়ানমারের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চলমান বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী মিয়ানমারের চলমান সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ৩.৮-এ সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আর্থিক ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে জনগণের জন্য গুণগত মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাজনৈতিক অঙ্গীকার নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০১৯ ও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেন এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বিশ্বসভায় তুলে ধরেন।