ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসা জোরদার ও সম্প্রসারণ করা হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলোজি বিভাগে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের ইতিহাস রয়েছে। এই ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসা আরও কার্যক্রম জোরদার ও সম্প্রসারণ করা হবে।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ইউরোলেজি বিভাগের রিসার্চ সেলের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলোজি বিভাগ অনেক দূর এগিয়েছি। যাদের হাত ধরে বর্তমান এই ইউরোলোজি বিভাগে এগিয়েছে তাদের আমরা ভুলে যাইনি। যারা অবসরে গেছেন তাদেরও এ বিভাগে কাজের মাধ্যমে দেশের মানুষকে সেবার সুযোগ রয়েছে। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে তারা চাইলেই কাজ করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলেজি বিভাগের ট্রান্সপ্লান্ট ডিভিশনকেই দায়িত্ব নিতে হবে। কিডনি ছাড়াও ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের কারণে লিভার, হার্ট, প্যানক্রিয়াস, কর্নিয়া, স্কিন প্রতিস্থাপনসহ বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসার সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে দেশব্যাপী।’

তিনি বলেন, ‘সারা দেশে বর্তমানে ১৭ হাজার রোগীর কিডনি ডায়ালাইলিস হয়। তাদের মধ্যে ট্রান্সপ্লান্ট প্রয়োজন হয় তিন হাজার রোগীর। কিন্তু আমরা পারি মাত্র তিনশ’ রোগীর ট্রান্সপ্লান্ট করতে। এ জন্য বিদেশে রোগীরা ছুটছেন। দেশের অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। আইনি জটিলতার কারণে দেশে মানবিক কারণে অঙ্গদান করা যাচ্ছে না। মানবিক কারণে অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন সংশোধন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। একইসঙ্গে গবেষণা ও থিসিস কার্যক্রমে যাতে কোনও কেউ কোনও ধরনের অনৈতিক পথ অবলম্বন করতে না পারে তার প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন– ইউরোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ইশতিয়াক আহমেদ শামীম, অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল সালাম, অধ্যাপক ডা. সাজিদ হাসান, অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশীদুল আলম, অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল ইসলাম (দিপু), নেফ্রোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।