চিকিৎসক সুরক্ষার দায়িত্ব আমার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব আমার, কিন্তু রোগীর ভালো সেবা দেওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে। আমার যেমন চিকিৎসকদের প্রতি দায়িত্ব আছে, তেমনি রোগীদের প্রতিও সমান দায়িত্ব আছে। এই দুই দায়িত্বই আমি নিচ্ছি, তবে হাসপাতালে কোনও রোগী যেন চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে।’

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডা. মিলন অডিটরিয়াম হলে নর্থ আমেরিকা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের যৌথ আয়োজনে ‘ডোনেশন অব মডার্ন হেলথ কেয়ার ইকুইপমেন্ট অ্যান্ড হ্যান্ডস অন ট্রেইনিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বেড সংখ্যা বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হাত দিয়ে পাঁচ বেডের বার্ন ইউনিট শুরু করেছিলাম, তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে ৫০০ বেডে উন্নীত করেছি। চেষ্টা থাকলে সবই করা সম্ভব। এভাবে সবার সহযোগিতা পেলে আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান অবশ্যই উন্নত করতে পারবো।’

ঢাকা মেডিক্যালের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা যে পরিমাণ পরিশ্রম করেন, আমি মনে করি তাদের নোবেল দেওয়া উচিত। হাজার হাজার রোগীকে দিন-রাত অক্লান্ত সেবা দিয়ে এই চিকিৎসকরা সুস্থ করে তোলেন। তাদের এই কৃতিত্ব অবশ্যই দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নর্থ আমেরিকা মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ব্যক্তিপর্যায়ে চিকিৎসা সামগ্রী দেওয়া হয়।

এদিকে বেলা আড়াইটায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীব্যাপী ডায়াবেটিস দিন দিন বাড়ছে। প্রতি বছর সাত মিলিয়ন করে নতুন রোগী তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশেও ডায়াবেটিস আক্রান্তের হার দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডায়াবেটিক রোগী আছে। ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশে ২ কোটি ২০ লাখ হতে পারে ডায়াবেটিক রোগী।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ৫০ ভাগ মানুষ জানেই না তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে। ইদানীং গ্রামের মানুষেরও ডায়াবেটিস হচ্ছে, যা আমাদের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা বাড়ানো। আমাদের সচেতন হতে হবে, শারীরিক পরিশ্রম বাড়াতে হবে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস করতে হবে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদের সভাপতিত্বে সভায় সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক মো. সাইফুদ্দিন, ডা. অরুপ রতনসহ অনেকে বক্তব্য দেন। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক পাঠান।