সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া শামীমাও মারা গেলেন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সারাহ ইসলামের কিডনি প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো ব্রেইন ডেথ রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রতিস্থাপন সফল বলা হলেও পরবর্তী সময়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করা দুই রোগী মারা গেছেন। সর্বশেষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় দ্বিতীয় রোগী শামীমা আক্তার (৩৪) গতকাল মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শামীমা। 

বিএসএমএমইউ’র রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটে মারা যান সারাহ’র কিডনি পাওয়া আরেক রোগী।  

ডা হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, ‘প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন, এবার দ্বিতীয় জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের। ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিল শামীমা। সম্প্রতি শামীমার ভাই জানান, তার কিডনির ক্রিটেনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গিয়েছিলেন শামীমা। পরে তিন সপ্তাহ আবারও বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিলেন, সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। চার দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে।’

মৃত্যুর কারণ জানতে প্রসঙ্গে এই সার্জন বলেন, ‘তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু উন্নতি হয়নি। বাইরের হাসপাতালেও একদিন নেওয়া হয়েছিল, অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারও আমাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই গত রাত ৯টার দিকে মারা যান তিনি।’

প্রতিস্থাপনে নেতৃত্ব দেওয়া এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘হেপাটাইটিস সি পজিটিভ হলে ব্লাড কাজ করে না। এজন্য বিশেষ করে রক্ত লাগে, সেটিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর রেসপন্স করেনি। বাড়িতে থাকার সময়ে অবস্থা খারাপ হলেও সময় মতো আমাদের জানানো হয়নি। অনেকটা অবহেলা ছিল। খারাপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া যেতো। তাহলে হয়তো এই অবস্থা দেখতে হতো না।’