টিকার সনদের ভুল সংশোধনযোগ্য

করোনার টিকা নেওয়ার পর গ্রহীতাকে যে সনদ দেওয়া হচ্ছে, তাতে অনেকেই ভুলের অভিযোগ করেছেন। তবে এ ভুল সংশোধনযোগ্য বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য দেন অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

টিকার সনদের ভুল সংশোধন সম্ভব কিনা ‑ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সনদের ভুল সংশোধন করে দেওয়া সম্ভব হবে।

বুলেটিনে তিনি বর্তমান করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, সামগ্রিকভাবে গত এক সপ্তাহে শনাক্তের হার শতকরা পাঁচ শতাংশের নিচে রয়েছে।

গত এক মাস ধরেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ছিল সেটি নিম্নমুখী রয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন। আর চলতি মাসে গতকাল পর্যন্ত (২৮ সেপ্টেম্বর) রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ২৫৫ জন।

গত এক সপ্তাহে এক লাখ ৭৭ হাজার ৭০৯টি করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে যা কিনা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৬ হাজার ৭০৮টি কম। গত এক সপ্তাহে করোনাতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৭৩ জন। যা কিনা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২৯ শতাংশ কম।

সেই সঙ্গে গত সপ্তাহে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬২ জন, যা কিনা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৮ শতাংশ কম।

সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত বিবেচনায় ঢাকা জেলা এখনও শীর্ষে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পাঁচ লাখ ১৮ হাজার ৯৩২ জন। ১০ শীর্ষ জেলার তালিকায় সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছেন নোয়াখালী জেলায় ২২ হাজার ৮২৪ জন।

অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রতি ১০০ জন রোগীর বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ৯৭ শতাংশের বেশি এবং ১০০ জন শনাক্ত রোগীর বিপরীতে মৃত্যু হার এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।

করোনার নিম্নগতির কারণে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্ধারণ করা শয্যা ফাঁকা থাকছে। তিনি বলেন,  যেহেতু সারাদেশেই করোনাতে শনাক্তের হার কমেছে, রোগী সংখ্যা কমেছে তাই করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর বেশিরভাগই এখন করোনারোগীবিহীন অবস্থাতেই থাকছে।

মোট ১৫ হাজারের বেশি শয্যা করোনা রোগীর জন্য নির্ধারিত ছিল, তার মধ্যে এখন ফাঁকা অবস্থাতে রয়েছে ১২ হাজার ৭৪২টি।