সংক্রমণের নিম্নগতি অব্যাহত, তবে আত্মতুষ্টির কারণ নেই: স্বাস্থ্য অধিদফতর 

সংক্রমণের নিম্নগতি- অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক সংবাদ হলেও এতে ‘আত্মতুষ্টির কোনও কারণ নেই’ বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আজ রবিবার ( ২৪ অক্টোবর) আয়োজিত অনলাইন বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জনস্বাস্থ্য এবং জনস্বার্থ রক্ষায় সচেতন হতে হবে এবং দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত শতভাগ কার্যকর ভ্যাকসিন হাতে না পাওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত প্রচলিত সবরকমের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে। যারা টিকা গ্রহণ করেছেন তাদের বেলাতেও একইরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

গত এক সপ্তাহের সংক্রমণ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দক্ষিণপূর্ব এশিয়াতে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতে গত এক সপ্তাহে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ২২৮ , ইন্দোনেশিয়ায় ২৬৪ এবং থাইল্যান্ডে ৫০২। তবে ভুটানে গত এক সপ্তাহে কোনও মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়নি। আর বাংলাদেশে ৫৫টি মৃত্যুর ঘটনা আমরা রেকর্ড করেছি।

গত সাতদিনে ২ হাজার ২৪৩ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন উল্লেখ অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, এটা তার আগের সাতদিনের তুলনায় প্রায় ৩২ শতাংশ কম। আর গত সাতদিনের মৃত্যুর তার আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২১ শতাংশ কম।

বিগত সাতদিনে সংক্রমণের পরিস্থিতি দুই শতাংশ বা তার চাইতে নিচেই ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেবল গত ১৯ অক্টোবর দুই দশমিক ২০ শতাংশ ছিল। বাকি পুরো সপ্তাহজুড়েই শনাক্তের হার দুই শতাংশের নিচেই ছিল। সামগ্রিকভাবে গত এক মাসে সংক্রমণের হার ক্রমাগত নিম্নমুখী হয়েছে এবং সেটি এখনও অব্যাহত রয়েছে।

দেশের চলতি বছরের সংক্রমণের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট মাসেই সবচেয়ে বেশি রোগী আমরা দেখেছি। জুলাই মাসে তিন লাখ ৩৬ হাজার ২২৬ জন আর আগস্ট মাসে দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৮০ জন শনাক্ত হয়েছিলেন। আর অক্টোবর মাসে সে বিবেচনাতে আমাদের রোগী সংখ্যা অনেক কম, মাত্র ১১ হাজার ৫০৬ জন।’

গত সপ্তাহেও জেলাভিত্তিক ঢাকা জেলাতেই সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি; যা সংখ্যায় ৫ লাখ ২৫ হাজার ৩৬৪ জন। এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা, সেখানে ৯২ হাজার ৪৬৪ জন শনাক্ত হয়েছে। শীর্ষ ১০ জেলার তালিকায় কক্সবাজার রয়েছে সবচেয়ে শেষে, সেখানে ২৩ হাজার ১৪৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

বয়স অনুপাতে মৃত্যুর তালিকায় ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীরাই বেশি রয়েছেন, জানান অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।