পছন্দের চাকরিটি পাবেন যেভাবে

লেখাপড়া শেষে চাকরির বাজারে আসতেই সাধারণত চাকরিপ্রার্থীকে দিশেহারা হতে দেখা যায়। নিজের আগ্রহ ও পছন্দের ক্ষেত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় এই সমস্যা হয়। এই সমস্যা কাটাতে নিজের পছন্দের ক্ষেত্র কোনটি সেটি বুঝতে হবে আগে। লেখাপড়ার ক্ষেত্র ও পছন্দের কাজের সঙ্গে চাকরির সামঞ্জস্য না থাকলে ক্যারিয়ার এমনকি জীবনের শান্তি পড়তে পারে বিপর্যয়ের মুখে। এসব বিপর্যয় এড়িয়ে যেভাবে চাকরি খুঁজলে নিজের পছন্দের চাকরিটি পাওয়া যাবে তা নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন ক্যারিয়ার কনসালট্যান্ট লুইস এফরন।

নিজেকে যে আটটি প্রশ্ন করবেন

এই ধাপে আপনি খুঁজবেন কোন ধরনের কাজ করতে আপনি উৎসাহী, কোন কাজ করতে আপনি ভালোবাসেন আর কোন কাজে আপনি নিজেকে সেরা মনে করেন। এটি বুঝার জন্য আপনাকে যে আটটি প্রশ্ন করতে হবে তা হলো।

১. কোন কাজের চিন্তা করে আপনি দিন শুরু করেন?

২. টাকার প্রয়োজন না থাকলে আপনি কোন চাকরি করতেন?

৩. ছোটবেলায় কোন কাজে আপনি সবচেয়ে বেশি আগ্রহী ছিলেন?

৪. জীবনে কোন সময়টিতে আপনি সবচেয়ে উৎসাহের সঙ্গে কাজ করেছেন? কাজটি কী ছিল?

৫. কোন কাজের জন্য আপনি স্মরণীয় হয়ে থাকতে চান?

৬. আপনি কোন কাজে নিজেকে সেরা বলে বিশ্বাস করেন?

৭. আপনি কোন ক্ষেত্রে সেরা বলে অন্যরা মনে করেন?

৮. জীবনে আপনি কোন কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন?

এসব প্রশ্নের মাধ্যমে আগ্রহের ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়ার পর ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে। বুঝতে হবে ওই ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে কোনটিতে সত্যিকারের আগ্রহ পান। এ বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য লুইস এফরন নিজের তৈরি একটি পরীক্ষা পদ্ধতি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তিনি বর্তমানে যে পেশায় রয়েছেন সেটিও এই পদ্ধতিতেই নির্ণয় করেছেন।

পরীক্ষণটি হলো

  • এ পর্যন্ত আপনি যত কাজ/চাকরি করেছেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন। এর মধ্যে যে কাজটি করে আপনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছেন সেটি চিহ্নিত করুন। এরপর সবচেয়ে ভালো লাগার ক্রমানুসারে সেগুলোকে সাজান।
  • আপনি সবসময় যে কাজগুলো করতে চেয়েছেন কিন্তু করার সাহস বা সুযোগ পাননি সেগুলোর একটি তালিকা করুন। এমন প্রতিটি কাজ/চাকরির নামের সামনে আপনি কেন সে কাজগুলো করেননি আর এখনও কেন চেষ্টা করছেন না তার কারণ লিখুন। এক্ষেত্রেও সবচেয়ে ভালো লাগার ক্রমানুসারে তালিকা করুন।
  • এখন একটি সময় পরিকল্পনা তৈরি করুন। যে সময়ের মধ্যে আপনি প্রাথমিকভাবে পছন্দের কাজগুলো করে দেখবেন। বর্তমানে যে চাকরি করছেন তার ডিউটি টাইমের পর কয়েক ঘণ্টা অথবা সাপ্তাহিক ছুটিতে এসব কাজ পরখ করতে পারেন। প্রতিটি কাজই পরখ করুন।
  • কোন কাজটি কী কারণে পছন্দ করলেন বা করলেন না তার নোট রাখুন।

এই পদ্ধতিতে আপনি নিজের সবচেয়ে পছন্দের কাজটি নির্ণয় করার পর সেটি থেকে কিভাবে আয় করবেন তার একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা তৈরি করুন।

সূত্র: ফোর্বস