বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিনটি ড্যাশ-৮ বিমান আসবে ২০২০ সালে

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দিক আহমেদ ও কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কার্ল মারকোটবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জন্য নতুন তিনটি ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ এনজি বিমান কেনার জন্য চুক্তিস্বাক্ষর হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ, মে ও জুনে উড়োজাহাজ তিনটি হস্তান্তরের কথা রয়েছে। কানাডার বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বম্বার্ডিয়ার ইনকরপোরেশনের কাছ থেকে এগুলো কেনা হচ্ছে। এজন্য ঋণ সহায়তা দিচ্ছে কানাডা সরকারের প্রতিষ্ঠান ‘এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট কানাডা’ (ইডিসি)।
বুধবার (১ আগস্ট) সকাল ১১টায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে এই ক্রয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দিক আহমেদ ও কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের (সিসিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কার্ল মারকোট।
বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে (জিটুজি) সরাসরি ক্রয় চুক্তির মাধ্যমে বিমান তিনটি কেনা হবে। গত বছরের শেষের দিকে অর্থনৈতিক বিষয়ে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই ক্রয় প্রস্তাবনা অনুমোদিত হয়।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালবুধবারের চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল বলেন, “জাতীয় পতাকাবাহী বিমানকে ‘আকাশে শান্তির নীড়’ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে বিমানের সেবার মানবৃদ্ধিসহ এর বহরে নতুন নতুন এয়ারক্রাফট সংযোজন করা হচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য দেন বিমান ও পর্যটন সচিব মহিবুল হক, বিমানবোর্ডের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারি, বম্বার্ডিয়ারের রিজিওনাল ডিরেক্টর রক বুর্ডেকিন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজের আশা, তাদের বিমানবহরে ৭০ থেকে ৮০ আসনের তিনটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০এনজি যুক্ত হলে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীসেবার মান বাড়বে।