এ উদ্যোগের ফলে সাশ্রয়ী মূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবেন এয়ারএশিয়ার যাত্রীরা। এর অংশ হিসেবে তাদের অফিসিয়াল এয়ারপোর্ট পার্টনার হয়েছে ডিউটি অ্যান্ড ট্যাক্স ফ্রি দোকান প্লাজা বালি।
নতুন শপিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শুধু বিমানের অভ্যন্তরেই নয়; বিমানবন্দর, হোম ডেলিভারিসহ বিভিন্ন স্থানে কাঙ্ক্ষিত পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা থাকছে। সবই হবে একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। প্রতিবার কেনাকাটার মাধ্যমে মিলবে এয়ারএশিয়া বিগ লয়্যালিটির পয়েন্ট। এই পয়েন্ট এয়ারএশিয়া প্ল্যাটফর্মে সব ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।
তবে বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু বিমানবন্দরে অর্ডার দিয়ে নির্বাচিত কয়েকটি ফ্লাইটে গিয়ে তা পাওয়া যাবে। ক্রেতাদের জন্য থাকবে বিগ-পে ব্যবহারের সুযোগ। ফলে ক্রেডিট কার্ড জটিলতায় পড়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
এয়ারএশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এয়ারএশিয়া এক্সের সহ-প্রধান নির্বাহী টনি ফার্নান্দেজ বলেছেন, ‘এশিয়ায় অনলাইনে টিকিট বিক্রির প্রথা প্রথম শুরু করে আমাদের এয়ারলাইন। নতুন উদ্যোগটি মূলত আমাদের ই-কমার্স প্রচেষ্টার সম্প্রসারণ। আশা করা হচ্ছে, আগামীতে আওয়ারশপ স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে। তখন অন্য এয়ারলাইন্সগুলোতেও একই সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।’
বাংলাদেশ থেকেও বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহন করে এয়ারএশিয়া। সম্প্রতি আবারও বিশ্বের সেরা বাজেট (বেস্ট লো-কস্ট) এয়ারলাইন পুরস্কার পেয়েছে মালয়েশিয়ার এই এই আকাশসেবা প্রতিষ্ঠান। স্কাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন অ্যাওয়ার্ডসে এ নিয়ে টানা দশমবারের মতো স্বীকৃতিটি এসেছে এয়ারএশিয়ার ঘরে। এছাড়া ওয়ার্ল্ড’স বেস্ট লো-কস্ট এয়ারলাইন প্রিমিয়াম কেবিন বিভাগে টানা ষষ্ঠবারের মতো সেরা হয়েছে এয়ারএশিয়া এক্স।