বনানীতে নভোএয়ারের কাউন্টারে কথা হয় যাত্রী জয়নাল আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঈদে গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল না। হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই বিমানের টিকিট নিতে এলাম, কিন্তু পেলাম না। মনে হচ্ছে, বাড়ি যাওয়া হবে না।’
আরেক যাত্রী মোহাম্মদপুরের শিক্ষার্থী অমিত রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বললেন, ‘ভেবেছিলাম বিমানে রাজশাহী গিয়ে তারপর সেখান থেকে ট্রেনে চড়ে পাবনা যাবো। কারণ বাস-ট্রেন কোনোটারই আগাম টিকিট কাটা হয়নি। কিন্তু কোনও এয়ারলাইন্সেই টিকিট পেলাম না।’
দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশাল; অভ্যন্তরীণ এই সাতটি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে দেশি এয়ারলাইন্সগুলো। তবে সব রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও ইউএস-বাংলা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শাকিল মেরাজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঈদের সব রুটের টিকিট আগস্টের শুরুতেই বিক্রি হয়ে গেছে। তারপরও যাত্রীরা প্রতিনিয়ত টিকিটের খোঁজ করছেন।’
রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করা এনজিওগুলোর জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে হোটেলগুলোতে রয়েছে বাড়তি চাপ। এ কারণে পর্যটকরা পাচ্ছেন না হোটেল। নভোএয়ারের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার একেএম মাহফুজুল আলম বাংলা ট্রিবিউনেকে বলেন, ‘সাধারণ সময়ে আমরা দিনে ১৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করি। এখন দিনে ঈদে ২৩টি ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে সব রুটে এখন ফুল ফ্লাইট যাচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে হোটেলের রুম না থাকার কারণে কিছুটা চাপ কম। এখনও অল্প কিছু টিকিট আছে।’
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সড়কপথে দীর্ঘ সময় ও ভোগন্তি এড়াতে আকাশপথে যাত্রীদের আগ্রহ বেড়েছে। সৈয়দপুর ও রাজশাহী রুটে যাত্রী বেশি থাকে। এখনও অনেকে টিকিটের জন্য যোগাযোগ করছেন। কিন্তু আমাদের কাছে আর কোনও টিকিট অবশিষ্ট নেই।’