বিএমসি ইনফেকশনস ডিজিজ জার্নালে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, বিমানবন্দরে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অপরাধী নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ট্রেগুলো! যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যাম ও ফিনিশ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ারের বিশেষজ্ঞদের একটি দল এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
২০১৬ সালের শীত মৌসুমে ফিনল্যান্ডের হেলসিনকি-ভ্যান্টা বিমানবন্দরের বিভিন্ন স্থানে জীবাণুর মাত্রা নিরীক্ষা করেছে ওই বিশেষজ্ঞ দল। তখন সব জায়গায় ১০ শতাংশ ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্লাস্টিক ট্রেগুলোতে ছিল বেশি। জীবাণু ছড়ানো অন্যান্য স্থানগুলো হলো দোকানে অর্থ আদান-প্রদানের স্থান, রেলপথের সিঁড়ি, পাসপোর্ট চেকিং কাউন্টার, শিশুদের খেলার জায়গা।
ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের স্কুল অব মেডিসিনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা অধ্যাপক জনাথান ভ্যান ট্রেম বলেন, ‘কীভাবে ভাইরাস সংক্রমণ হয়, জনসাধারণের মধ্যে সেই সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এই গবেষণা। মানুষ এখন ঘরের বাইরে সবসময় হাত পরিষ্কার রাখার স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করবে।’
ফিনিশ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ারের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ নিনা আইকোনেন মনে করেন, এই গবেষণার মাধ্যমে বিমানবন্দর ডিজাইন ও সংস্কারের মতো কারিগরি উন্নয়ন সাধনে নতুন ভাবনা তৈরি হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে গুরুতর সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কার্যকরী পরিকল্পনাও করা সহজ করবে এটি।
এদিকে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরও সমান অপরিচ্ছন্ন থাকে বলে বিশেষজ্ঞরা নিরীক্ষায় দেখেছেন। ২০১৫ সালে ট্রাভেলম্যাথের আরেক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। তখন জানা যায়, উড়োজাহাজের ভেতরে যাত্রীদের আসনের ওপরে হ্যান্ডব্যাগ রাখার তাকগুলোও জীবাণুতে ভরা থাকে।
সুতরাং আকাশপথে রওনা দেওয়ার আগে অথবা পরে সঙ্গে ভাইরাসও চলে আসছি কিনা কে জানে! তাই যতটা সম্ভব হাত ধুয়ে রাখা প্রয়োজন।
সূত্র: সিএনএন