ফ্লাইটে কেমন খাবার খেয়ে থাকেন পাইলট

যাত্রীরা যা খেয়ে থাকেন তার চেয়ে পাইলটদের খাবার পুরোপুরি আলাদাবাজেট এয়ারলাইন্স ব্যতিত সব উড়োজাহাজেই সৌজন্য হিসেবে খাবার পরিবেশন করেন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা। দীর্ঘ যাত্রার বিমান চালানোর সময় পাইলট আর ক্যাপ্টেনকেও খাবার খেতে হয়। তারাও কি যাত্রীদের মতো একই খাবার খেয়ে থাকেন? এ নিয়ে কৌতূহল আছে অনেকের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাজ্যের একজন পাইলট জানিয়েছেন, সুস্থতাকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য বিমানের অন্য সবার চেয়ে পাইলট ও ক্যাপ্টেনের খাবার হয় পুরোপুরি আলাদা। অবশ্য যাত্রী আর পাইলটদের খাবার একই ক্যাটারিং কোম্পানি প্রস্তুত করে। পাইলট ও ক্যাপ্টেনের জন্য বরাদ্দ খাবার অনেকটা ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীদের খাবারের মানের মতোই।

পার্থক্য আরও আছে। পাইলট ও ক্যাপ্টেন আলাদা খাবার খেয়ে থাকেন। জরুরি ক্ষেত্রে দু’জনের একজন যেন অন্তত সুস্থ থাকেন, সেজন্য বেছে নেওয়া হয় এই পন্থা। ওই পাইলট বলেছেন, ‘খাবার থেকে কোনও সমস্যা যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা আলাদা খাবার খেয়ে থাকি। কোনও খাবার যেন আমাদেরকে নিস্তেজ করে না দেয় সেদিকে সচেতন থাকতে হয়।’

 

একইসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য পাইলট ও ক্যাপ্টেন আলাদা খাবার খেয়ে থাকেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই পাইলট বলেন, ‘পাইলট অথবা ক্যাপ্টেনের কোনও একজন যদি খাবারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়েও পড়েন, তখন যুক্তিসঙ্গতভাবে অন্যজন প্রত্যাশা অনুযায়ী উড়োজাহাজ অবতরণ করাতে পারেন।’

জানা গেছে, পাইলটদের অনেকে বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসেন। অনেক এয়ারলাইন রান্না করা খাবার যাত্রী ছাড়া উড়োজাহাজের কোনও ক্রুর জন্যই বরাদ্দ রাখে না। এর পরিবর্তে তাদেরকে দেওয়া হয় ভাতা। যেমন যুক্তরাজ্যের রায়ানএয়ারের পাইলটরা আইডি কার্ড, ইউনিফর্ম, চিকিৎসা ও খাবার-পানীয়র জন্য ৬ হাজার পাউন্ড পেয়ে থাকেন।

পাইলট বা ক্যাপ্টেনের অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হলে অন্যরা তখন সব সামলে নেন। কোনও পাইলটের পক্ষে দায়িত্ব পালন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়লে অন্যরা তখন উড়োজাহাজ চালিয়ে কাছের ও জুতসই বিমানবন্দরে নিয়ে যান। আর গন্তব্যের কাছাকাছি থাকাকালে এমন কিছু ঘটলে সেদিকেই এগোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে।

সূত্র: সানডে এক্সপ্রেস