যাত্রীরা সন্তানদের নিয়ে ভ্রমণ করলে বেশকিছু এয়ারলাইন্স বিনামূল্যে শিশু-কিশোরদের যত্নের জন্য প্যাকেজ বরাদ্দ রাখে। যেমন গালফ এয়ার আকাশপথে শিশুদের জন্য ন্যানি অর্থাৎ আয়া দিয়ে থাকে। খাবারের সময় তারা শিশুদের দেখভাল করেন। ফলে মা-বাবা নিজেদের মতো করে খেতে পারেন।
ইতিহাদ এয়ারওয়েজের ফার্স্ট ক্লাস ভ্রমণকারীরাও বিমানে ন্যানির সুবিধা পেয়ে থাকেন। তারা পুরো ফ্লাইটে শিশুদের যত্ন নেন। সঙ্গে থাকে ব্যাগভর্তি খেলনা আর আঁকাআঁকির রঙপেন্সিল ও কাগজ। এই ফ্লাইট ক্রুরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বোরল্যান্ড কলিগে। ব্রিটিশ রাজপরিবারও সেখান থেকে ন্যানি নেয়।
এমিরেটসও শিশুদের একইরকম সেবা দিয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে কুমির অথবা হাতি আকৃতির খেলনা। সম্প্রতি ব্যাগ ও স্টেশনারি ডিজাইনের জন্য লোনলি প্লানেটের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে এই এয়ারলাইনস। বাংলাদেশ থেকেও বিশ্বের বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিবহন করে এমিরেটস।
কাতার এয়ারওয়েজ শিশুদের জন্য রাখে ব্যাগভর্তি পাজল ও গেমস। এছাড়া লাঞ্চবক্সের আঙ্গিকে শিশুদের খাবারের বক্স দেওয়া হয়, চাইলে এটি সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকেও ফ্লাইট অপারেশন চালাচ্ছে এই এয়ারলাইনস।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজেও শিশুদের বিনোদনের জন্য বই, খেলনা, রঙপেন্সিলসহ সুদৃশ্য ব্যাকপ্যাক দেয় বিনামূল্যে।
এছাড়া হৈ-হুল্লোড়ে অন্য যাত্রীদের যেন বিরক্তি না ধরে সেজন্য কিছু এয়ারলাইনস শিশুদের জন্য উন্মুক্ত জায়গা রাখে। যেমন ২০১৬ সালে ভারতীয় এয়ারলাইন ইন্ডিগো তাদের প্রিমিয়াম আসনে চালু করে নীরব স্থান, যেখানে শিশুদের যাওয়ার অনুমতি নেই। বাংলাদেশ থেকেও ফ্লাইট অপারেশন চালাচ্ছে ইন্ডিগো।
সূত্র: সানডে এক্সপ্রেস