বোর্ডিং পাস নেওয়ার আগে যা করলে ভালো আসন পাবেন বিমানে

চেক-ইন স্টাফের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে ভালো আসন মেলে বিমানেবিমানে ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টরা বেশিরভাগ সময় যাত্রীদের পছন্দমাফিক সুযোগ-সুবিধা দিতে পারেন না। যদিও দায়িত্ব পালনের সময় তাদের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণির যাত্রীদের প্রত্যাশা থাকে। এর মধ্যে আসন পরিবর্তন অন্যতম। তবে খুব কম যাত্রী তা পেয়ে থাকেন। কারণ এ বিষয়ে ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টদের মোটেও অনুমতি নেই।

তবে বিমানে ভালো আসন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা থাকে একজনের হাতে। তিনি হলেন বিমানবন্দরের চেক-ইন স্টাফ। কেবিন ক্রু সদস্যরা নন, কোন যাত্রী কোথায় বসবেন সেই সিদ্ধান্ত নেন মূলত এই পদে দায়িত্বরত কর্মকর্তাই। ফলে তিনি চাইলেই বিমানের ভালো আসনগুলোর একটিতে বসাতে পারেন যেকোনও যাত্রীকে। ফলে চেকিং প্রক্রিয়ার সময় তাদের সামনে হাসিখুশি থাকা বিচক্ষণ কাজ।

যাত্রীর ব্যবহার খারাপ লাগলে শিশু-কিশোরদের আশেপাশের আসন দেন চেক-ইন স্টাফহাইপারঅ্যাক্টিভ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, চেক-ইন স্টাফের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে ভ্রমণ হয়ে উঠতে পারে আরামদায়ক। কারণ কে কোথায় বসবে তা নিয়ন্ত্রণের অধিকার আছে তাদের হাতে। সাধারণত কোনও যাত্রীর ব্যবহার খারাপ লাগলে চেক-ইন স্টাফ তাকে শিশু-কিশোরদের আশেপাশের আসন দেন। দীর্ঘ ভ্রমণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেইবা কিচিরমিচিরের মধ্যে থাকতে চায়!

একইসঙ্গে ব্যস্ত ফ্লাইট ক্রু সদস্যদের সঙ্গেও মুখে হাসি রেখে কথা বললে কিছুটা ভালো সেবা মিলবে। কারণ আকাশপথে তাদের কাজের প্রকৃতি কিছুটা কঠিন।

যাত্রীদের ভালো আসন দেওয়ার ক্ষমতা আছে কেবল বিমানবন্দরের চেক-ইন স্টাফেরবিমানে সেরা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন আসন জুতসই, সেই ব্যাখ্যা দিয়েছে ওয়াইস্টার ম্যাগাজিন। পেছন দিকের আসনে বসা যাত্রীদের সেবায় সচেতন থাকেন ফ্লাইট অ্যাটেনড্যান্টরা। কেউ বাড়তি অ্যালকোহল, ইয়ারপ্লাগ কিংবা টুথব্রাশ চাইলে সমস্যায় পড়ে যান তারা। কারণ বেশিরভাগ বিমানে সব যাত্রীর জন্য এগুলো বরাদ্দ থাকে না। তবে পেছনের দিকে বসলে বাড়তি জিনিসপত্র অনায়াসে পাওয়া যায়।

তবে সাধারণত বিমান অবতরণের পর আগে নামার জন্য বিমানের সামনের দিকে বসাকে প্রাধান্য দেন বেশিরভাগ যাত্রী। অনেকে আবার হাঁটাচলার পাশের আসন বেছে নেন। এসব ক্ষেত্রে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় না বললেই চলে।

সূত্র: সানডে এক্সপ্রেস