২০৪০ সালের মধ্যে আকাশপথ শাসন করবে চীন ও ভারতের বিমান যাত্রীরা

এভিয়েশনবিমানবন্দরে যাত্রীদের লম্বা লাইন প্রতিদিনকার চিত্র। দিনে দিনে তা বেড়েই চলেছে। কয়েক বছরের ব্যবধানে তা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে একবার ভাবুন তো!
এয়ারপোর্ট কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনালের (এসিআই) পূর্বাভাস, আগামী দুই দশকে বিশ্বব্যাপী বিমান যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাবে দ্বিগুণেরও বেশি। তাদের সমীক্ষা বলছে, ২০৪০ সালের মধ্যে আকাশপথে ২০ দশমিক ৯ বিলিয়ন যাত্রী বিমান ভ্রমণ করবে। ২০১৭ সালে সংখ্যাটা ছিল ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন। সেখান থেকে আগামী ২০ বছরে কয়েক দফা লাফ দিয়ে বেড়ে যাবে সংখ্যাটা।
এসিআই মনে করছে, আমেরিকাকে হটিয়ে বিমান ভ্রমণে শীর্ষে উঠে আসবে চীন। ২০৪০ সালে দেশটির যাত্রীরা ৪০০ কোটি বার আকাশপথে যাতায়াত করবে। এই সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বিমান যাত্রীদের প্রায় ১৯ শতাংশ। আমেরিকান যাত্রীরা বিমান পরিবহন খাতে বাজার তৈরিতে ১৫ শতাংশ অবদান রাখে। ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বিমান যাত্রী নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভারত।
বিপুল পরিমাণ যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির আভাস বিশ্বব্যাপী এভিয়েশন শিল্পের জন্য সুখবর। ফলে বিমানবন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও নতুন বিমানবন্দর স্থাপনের পথ তৈরি হবে। তবে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে আরও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখছে এসিআই।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এভিয়েশন শিল্পের বাজার বৃদ্ধিকে ইতিবাচক হিসেবে মন্তব্য করেছেন এসিআই ওয়ার্ল্ডের মহাপরিচালক অ্যাঞ্জেলা জিটেন্স। তবে তিনি বলেন, ‘যাত্রী সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্বব্যাপী অনেক বিমানবন্দরে বর্তমান ও পরিকল্পিত পরিকাঠামোকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। তাই আগামী কয়েক বছরের জন্য একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনা প্রয়োজন।’
এদিকে আগামী দুই দশকে যেসব দেশে দ্রুত বিমান যাত্রী সংখ্যা বাড়বে সেই তালিকায় রয়েছে ভিয়েতনাম, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, কলম্বিয়া, মেক্সিকো ও মালয়েশিয়া। 

২০৪০ সালের মধ্যে যেসব দেশে দ্রুত বিমান যাত্রী বাড়বে 

১. ভিয়েতনাম (৭ দশমিক ৮ শতাংশ)
২. ভারত (৬ দশমিক ৮ শতাংশ) 

৩. সৌদি আরব (৬ দশমিক ২ শতাংশ)
৪. সংযুক্ত আরব আমিরাত (৫ দশমিক ৭ শতাংশ)
৫. চীন (৫ দশমিক ৫ শতাংশ)
৬. ফিলিপাইন (৫ দশমিক ৪ শতাংশ)
৭. ইন্দোনেশিয়া (৫ দশমিক ৪ শতাংশ)
৮. কলম্বিয়া (৫ দশমিক ৪ শতাংশ)
৯. মেক্সিকো (৫ দশমিক ৪ শতাংশ)
১০. মালয়েশিয়া (৪ দশমিক ৮ শতাংশ)

সূত্র: সিএনএন