স্ট্যাটাসের শুরুতেই প্যাট্রিশা অরগ্যানো লিখেছেন, ‘ফ্লাইটের অভ্যন্তরে অচেনা একজন মায়ের সন্তানকে বুকের দুধ দিয়েছি।’ এরপর পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি।
অরগ্যানো জানান, ফিলিপাইন এয়ারলাইনসের বিমানটি উড্ডয়নের পর একটি বাচ্চার কান্না শুনতে পান তিনি। তার কথায়, ‘সে এমনভাবে কাঁদছিল, খুব মায়া হলো। নিশ্চিত ছিলাম, ওর অনেক ক্ষুধা পেয়েছিল। বাচ্চাটার কান্না দেখে সহযোগিতা করার ইচ্ছে জন্মালো মনে। তাই তার মায়ের কাছে গিয়ে সব ঠিক আছে কিনা জানতে চাইলাম। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য বলি। মায়ের চোখেও তখন জল।’
ফেসবুক পোস্টে অরগ্যানো যোগ করেন, ‘দুধ পেয়ে সন্তানের কান্না থামতেই মায়ের চোখে স্বস্তি দেখতে পেলাম। মেয়েটা না ঘুমানো পর্যন্ত তাকে বুকের দুধ দিয়েছি। ঘুমিয়ে পড়ার পর কোলে করে আসনে দিয়ে এসেছি। চলে আসার সময় তার মা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ দেন আমাকে।’
শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় তোলা একটি ছবি ফেসবুক পোস্টে যুক্ত করেছেন প্যাট্রিশা অরগ্যানো। তবে মেয়েটির পরিবারের গোপনীয়তার কথা ভেবে এটি সম্পাদনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এতে লাইক পড়েছে দেড় লাখের পাশাপাশি। কমেন্ট করা হয়েছে সাড়ে ৭ হাজারের বেশি। এটি শেয়ার হয়েছে ৩৪ হাজার বারেরও বেশি।
ফিলিপাইন এয়ারলাইনসের এই ফ্লাইটের মাধ্যমে কেবিন ক্রু ইভালুয়েটর হিসেবে পদোন্নতি হয়েছে প্যাট্রিশার।
সূত্র: ইউএসএ টুডে