বিমান প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের সেবার মান আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। এখন মূল চ্যালেঞ্জ মানুষের আস্থা ফেরানো। যাত্রীরা যাতে অভিযোগ জানাতে পারেন সেজন্য বিমানবন্দরে একটি বক্স স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছি। যে কেউ চাইলে আমাকেও সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন। আমরা দরজা সবসময় খোলা।’
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মঙ্গলবার প্রথমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন মাহবুব আলী। বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মাহবুব আলীর ভাষ্য, ‘অন্যান্য দেশের বিমানবন্দরের মতো আমাদের বিমানবন্দরে অনেক আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে। যাত্রীরা বিভিন্ন দেশে যান, তারা সেসব দেশের মতো সুবিধা প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশে। আমাদেরও মানোন্নয়ন হয়েছে। কাস্টম, পুলিশসহ সব সংস্থাকে সমন্বয় করে যাত্রীসেবা দেওয়ার কথা বলেছি। আগামীতে আরও বৈঠক করবো। সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো, পিছিয়ে থাকবো না।’
বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কের ফ্লাইট চালু প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমেরিকান ফেডারেশন অব সিভিল এভিয়েশন প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে সফরে আসবে। তাদের প্রতিবেদনের পর নিউইয়র্কে ফ্লাইটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’
মঙ্গলবার সকালে প্রথমে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দফতরে যান মাহবুব আলী। সেখানে বৈঠক শেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন তিনি। কার্গোর ভিলেজে অগোছালো মালামাল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী। যাত্রীদের সঙ্গে বিমানবন্দরের সেবার মান নিয়ে কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিমান সচিব মো. মহিবুল হক, বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসানসহ কর্মকর্তারা।
ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পরও যাত্রীদের পাসপোর্ট একাধিকবার চেক করার কারণে দীর্ঘ লাইন ও সময়ক্ষেপণ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সচিব মো. মহিবুল হক। ইমিগ্রেশন পুলিশকে এই সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন তিনি।