পুয়ের্তো রিকোর সান হুয়ানের লুই মুনোফ মারিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি রওনা দেওয়ার পর আকাশপথে শিশুটি জন্মগ্রহণ করে। এই যাত্রার মোট ব্যাপ্তি ছিল তিন ঘণ্টা। নির্ধারিত সময়ের ১১ মিনিট আগেই বিমানটি রানওয়ে স্পর্শ করে। এর মধ্যেই পৃথিবীর আলো দেখেছে সে। মা ও ছেলে উভয়ে সুস্থ আছে।
জেটব্লু’র মুখপাত্র টামারা ইয়াং জানান, বিমানের অভ্যন্তরে প্রসব প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছেন কেবিন ক্রু ও মেডিক্যাল প্রফেশনালরা। চাপের মুখে তড়িত পদক্ষেপ নেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন জেটব্লু’র আরেক মুখপাত্র শ্যারন এ. জোন্স। একইসঙ্গে মা ও নবজাতককে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরে জেটওয়ে ব্রিজে নবজাতকের পরিচর্যায় মনোযোগ দিয়েছেন ব্রোয়ার্ড কাউন্টির প্যারামেডিকরা। তবে ফ্লাইটটির সব যাত্রী এমন খুশির মুহূর্ত স্বচক্ষে দেখার সুযোগ পাননি।
শিশুর নাম ও বিমান সংস্থার একে অন্যের ওপর প্রভাবের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বাজেট এয়ারলাইনস জেটস্টারের একজন যাত্রী আকাশপথে প্রসব করায় সন্তানের নাম রাখেন ‘স জেট স্টার’। ২০১২ সালে এমিরেটসের একজন যাত্রী উড়োজাহাজে সন্তান জন্মদানের পর তার নাম রাখেন ফ্লাইট নম্বর অনুযায়ী!
সূত্র: ডেইলি এক্সপ্রেস