রয়েল ভুটান এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ককপিট রাঙিয়েছেন তিন নারীরয়েল ভুটান এয়ারলাইনস তথা ড্রুকএয়ার প্রথমবারের মতো নারী নেতৃত্বে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এতে পাইলট থেকে শুরু করে ফার্স্ট অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার, কেবিন ক্রু, পুশ-ব্যাক টিম, চেক-ইন, ক্যাটারিং ও অন্যান্য গ্রাউন্ড স্টাফ ছিলেন নারীরা। গত ৮ মার্চ পারো থেকে বাগদোগরা হয়ে ব্যাংককে যায় উড়োজাহাজটি। এর মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করেছে ড্রুকএয়ার।
ড্রুকএয়ারের এয়ারবাস ৩১৯ বিমানটিতে মোট আরোহী ছিলেন ৮৯ জন। এর মধ্যে নারী যাত্রীদের জন্য ছিল লাকি ড্র প্রতিযোগিতা। তাদের সবাইকে একটি করে স্ক্র্যাচ কার্ড দেওয়া হয়। এয়ারলাইনটির পক্ষ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন ভাগ্যবতী তিন বিজয়িনী।
কেবি১৩০ ফ্লাইটটি সফলভাবে সামলেছেন নারীরা। এতে ক্যাপ্টেন ছিলেন উগিয়েন দেইমা। ২০০৬ সাল থেকে ড্রুকএয়ারে কর্মরত আছেন তিনি। সিনিয়র ফার্স্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সোনম লামো। এছাড়া ছিলেন ভুটানের প্রথম নারী লাইসেন্সধারী উড়োজাহাজ প্রকৌশলী সোনম দেকি চেরিং।
ড্রুকএয়ারের ফ্লাইটে কেবিন ক্রুরা, (ডানে) লাকি ড্র প্রতিযোগিতার একজন বিজয়িনীটুইটারে ড্রুকএয়ারের অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, ভুটানিজ এভিয়েশনের ইতিহাসে এবারই প্রথম নারী নেতৃত্বে ফ্লাইট পরিচালনার দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো। তাদের আশা, আগামীতে এভিয়েশন শিল্পের প্রতি নারীদের আগ্রহ জন্মাবে। ড্রুকএয়ারে এখন ১৬৮ জন নারী কাজ করেন।
৮ মার্চ শুধু আন্তর্জাতিক নারী দিবস নয়, বিশ্বের প্রথম নারী পাইলটের লাইসেন্স পাওয়ার জন্যও দিনটি তাৎপর্যময়। ১০৮ বছর আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন এলিজ রেমন্ড ডোরশ।
সূত্র: নর্থইস্ট নাউ