বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের ৫০ বছর পূর্তি






অতিথিদের সঙ্গে সম্মাননা পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা পাইলট, বাপার সাবেক নেতা, প্রাক্তন পাইলটরা

বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) ৫০ বছর পূর্তি হলো। এটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে কর্মরত পাইলটদের সংগঠন। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ছিল জমকালো অনুষ্ঠান।

পেশাগত কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলটদের দেখা-সাক্ষাৎ তেমন একটা হয় না বললেই চলে। তাই বাপা’র অনুষ্ঠানটি রূপ নেয় তাদের মিলনমেলায়।

স্বাগত বক্তব্যে বাপা’র সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘পাকিস্তান এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিশন থেকে আলাদা হয়ে গড়ে ওঠে পূর্ব পাকিস্তান এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ স্বাধীন হলে জন্ম নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ঠিক তখনই নাম পরিবর্তন করে হয় বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিয়শন (বাপা)। বিমানের আধুনিকায়নের প্রথম থেকে বাপা সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেবে।’

সম্মাননা তুলে দিচ্ছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীসংগঠনের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা পাইলট, বাপার সাবেক নেতা, প্রাক্তন পাইলটদের সম্মাননা জানানো হয়।

বাপার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ক্যাপ্টেন সাহাবুদ্দীন আহমেদ বীর উত্তম বলেন, ‘১৯৬৮ সালে শহীদ ক্যাপ্টেন আলমগীরের বাসায় বসে আমরা পূর্ব পাকিস্তান এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হলে পাকিস্তান সরকার তা বাতিল করে দেয়। পরে আমরা আদালতে যাই। আদালত নির্দেশ দিলে ১৯৭০ সালের ১৫ আগস্ট পূর্ব পাকিস্তান এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন জন্ম নেয়। তখন এর সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ১১ জন।’

বাপা’র ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানমঙ্গলবারের আয়োজনে আরও ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব) এনামুল বারী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সিইও মোকাব্বির হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব এয়ারলাইনস পাইলটস অ্যাসোসিয়েশনের (ইফালপা) প্রেসিডেন্ট জ্যাক নেক্সটার, নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক হোসেন, বেবিচক সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন্স) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর, সদস্য (এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সাঈদ মেহবুব খান, পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স) উইং কমান্ডার ইমরানুর রহমান, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ-উল আহসান, পরিচালক (এভসেক) ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।